তিউনিশিয়ায় হাসপাতালে ১১ শিশুর মৃত্যু : স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ মার্চ ২০১৯, ১০:৪৮
তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিসের একটি হাসপাতালে সদ্য জন্ম হওয়া ১১ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদের রউফ শেরিফ। খবর বিবিসির।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ থেকে ৮ মার্চের মধ্যে মৃত্যু হওয়া এসব শিশুর সবাইকে সেপটিক শক দেয়া হয়েছে। এ কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সরকারি ওই হাসপাতালে সদ্যজাতদের মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসেফ শাহেদ।
মাত্র চারমাস আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন আবদের রফ সেরিফ। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাসের মাথায় তাকে পদত্যাগ করতে হলো।
উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে তিউনিশিয়ার সরকারি স্বাস্থ্যসেবার একটা বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে। দেশটি চিকিৎসা পর্যটন থেকে তাদের বার্ষিক আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আয় করে থাকে।
কিন্তু ২০১১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাইন আল-আবিদিন বেন আলির ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে এ ব্যবস্থাপনায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবস্থাপনা ও অর্থনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি বর্তমানে যুক্ত হয়েছে ওষুধ সঙ্কট।
আরো পড়ুন :
হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেড়ে ওড়িষ্যার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২২ অক্টোবর ২০১৬
হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে শুক্রবার পদত্যাগ করলেন ওড়িষ্যার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অতনু সব্যসাচী নায়েক। গত সোমবার ওডিশার এসইউএম হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ২৫ জনের মৃত্যু হয়।
ওড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নৈতিক কারণেই মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন অতনু সব্যসাচী নায়েক। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেডি-র'ই অতনু বিরোধী লবির বক্তব্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ায় নবীন পটনায়েক সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকবে। অতনু বিরোধীদের আরও অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতর নিয়ে লোকজনের গুচ্ছের অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জন্য জটিলতা আরও বেড়েছে।
গত বছর নভেম্বরে কটকের সরকারি শিশু হাসপাতাল 'শিশুভবন'-এ অনেক শিশুর মৃত্যুর ঘটনার পরপরই সব্যসাচী বিরোধী হওয়া বইতে থাকে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাঁকে সরানোর জন্য তখন থেকেই দাবি উঠতে শুরু করে। গত সোমবার হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড সেই দাবিকে আরও জোরালো করে। যার জেরে নৈতিকতার দোহাই দিয়ে সরতে বাধ্য হন সব্যসাচী।
সূত্র: টাইমস অব ইনডিয়া