কায়রো বইমেলায় হাসান আল-বান্নার বই বাজেয়াপ্ত
- মিডলইস্টমনিটর
- ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০০
মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ হাসান আল-বান্নার একটি বই বাজেয়াপ্ত করেছে মিসরের রাজধানী কায়রো বইমেলার আয়োজকেরা। মিসরীয় দৈনিক আল-মাসরি আল-ইয়ুম এ কথা জানিয়েছে।
জেনারেল ইজিপটিয়ান বুক অরগানাইজেশন (জিইবিও) এবং কায়রো ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেয়ারের পরিচালক ইসলাম বউউমি সাংবাদিকদের বলেন, আয়োজক কমিটি মেলার বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শনকালে আল-বান্না লিখিত ‘হাসান আল-বান্না’স সেইয়িং’ শিরোনামের বইয়ের পাঁচটি কপি পেয়েছিল।
ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতার লিখিত যে বইগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলো মরোক্কোর প্রকাশক দার আল-রাশাদের স্টলে পাওয়া গিয়েছিল। প্রকাশককে বইগুলো বিক্রি করায় সতর্ক করা হয়েছিল যদি নির্দেশ মেনে না চলে তাহলে তাদের স্টলটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল। ৫০তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেয়ার ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফিফথ সেটেলমেন্টে চলবে।
বিশ্বব্যাপী ৬০০টিরও বেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিয়েছে। ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বাকস্বাধীনতা দমনের নজিরবিহীন সাক্ষী হয়ে রয়েছে মিসর। নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের ঘটনাও ঘটেছে। জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনের কথা বলে সরকার এসব কালাকানুন চালু করছে মানুষে মুখ বন্ধ করতে।
১৯২৮ সালে মিসরে প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম ব্রাদারহুড। ২০১৩ সালে দলটি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রায় ছয় বছর যাবৎ বন্দী রাখা হয়েছে। দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মুরসিসহ ব্রাদারহুডের নেতাদের কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং দলটির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে হাজার হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং সংস্থার অনেক সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
২০১৫ সালে মিসরের ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সেক্টরের প্রধান ঘোষণা করেছিলেন যে, মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল-বান্না, ইউসুফ আল-কারাযাভি এবং সাইয়েদ কুতুবসহ অন্যান্য নেতার লেখা ইসলামী বইপত্র পুড়িয়ে দেবে মন্ত্রণালয়। এই কঠোর ব্যবস্থা সত্ত্বেও এই অঞ্চলজুড়ে ব্রাদারহুডের সমর্থন বজায় রয়েছে। আলবান্নাকে বিভিন্ন আরব রাজনৈতিক দল অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে দেখে থাকে।