২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইয়েমেনের রাজধানীতে সৌদি জোটের বিমান হামলা

-

হাউছি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। শনিবার রাতভর চালানো এসব হামলা ইয়েমেনে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসঙ্ঘের চেষ্টাকে কঠিন করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব হামলা জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতায় গত মাসে ইয়েমেনের বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে হওয়া চুক্তির বাস্তবায়নের সম্ভাবনাকেও জটিল করে তুলবে।

আল আরাবিয়া টেলিভিশন জানিয়েছে, জোটের যুদ্ধবিমানগুলো সানার আল-দুলাইমি বিমান ঘাঁটি, একটি ড্রোন পরিচালনা নেটওয়ার্ক ও সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাতভর সানায় পশ্চিমা সমর্থিত সৌদি জোট মোট ২৪ বার বিমান হামলা চালিয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে হাউছি বিদ্রোহীদের পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এর মধ্যে আল-দুলাইমি বিমান ঘাঁটিতে চারবার হামলা চালানো হয়েছে।

প্লাস্টিক কারখানার মতো বেসামরিক কিছু স্থাপনাও সৌদি হামলার শিকার হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা। হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির তাৎক্ষণিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত সপ্তাহে ইয়েমেনের পশ্চিমা সমর্থক সরকারি বাহিনীর কুচকাওয়াজে হাউছিদের ড্রোন হামলার পরপরই দু’পক্ষের যুদ্ধে তীব্রতা বেড়েছে। এর ফলে হুতি ও সরকারি বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে চলতি মাসে জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে সম্ভাব্য দ্বিতীয় দফা বৈঠক বানচাল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে গেছে। ইয়েমেনে প্রায় চার বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ বন্ধে জাতিসঙ্ঘ দু’পক্ষের মধ্যে ঘন ঘন বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সুইডেনে হওয়া গত মাসের বৈঠকে দু’পক্ষই হাউছিদের নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের প্রবেশদ্বার হোদায়দায় যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হলেও লোহিত সাগর তীরবর্তী এ শহরটি কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নিয়ে মতবিরোধে শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের সৈন্য সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা যায়নি।

সৌদি সমর্থিত সরকারের প্রেসিডেন্ট আবদু-রাব্বিহ মনসুর হাদিকে ২০১৪ সালে সানা থেকে উৎখাত করে ইরান সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীরা। পরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বে সামরিক জোট ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশির ভাগ পশ্চিমা দেশ শুরু থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে এলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইয়েমেনের দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি ঠেকাতে যুদ্ধ বন্ধে রিয়াদ ও আবুধাবিকে চাপ দিচ্ছে। জাতিসঙ্ঘ ইয়েমেনের প্রধান বন্দর শহর হোদায়দা থেকে দু’পক্ষের সৈন্য প্রত্যাহার ও সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement