২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বিন সালমান-পম্পেও বৈঠকে ইয়েমেনে উত্তেজনা হ্রাসে মতৈক্য

সৌদি আরবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী -

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে দেখা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বৈঠকে জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতির পর ইয়েমেনে উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে একমত হয়েছেন পম্পেও ও যুবরাজ। তবে পূর্বনির্ধারিত কুয়েত সফর বাতিল করেছেন পম্পেও।

সোমবার সকালে মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে তিনি সৌদি রাজধানী রিয়াদে পৌঁছান। এর আগে ১৩ জানুয়ারি কাতারের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন তিনি। সৌদি আরবের পর ওমান ও কুয়েত সফর করার কথা ছিল তার। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র জানান, পারিবারিক এক শেষকৃত্যে যোগ দিতে মধ্যপ্রাচ্য সফর সংক্ষিপ্ত করছেন পম্পেও। দফতরের উপমুখপাত্র, রবার্ট পালাদিনো বলেন, ওমান সফরের পরই দেশে ফিরে যাবেন পম্পেও। তার স্ত্রীর পরিবারের একজনের মৃত্যুর কারণে তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে।

সৌদি বাদশাহ সালমানের সাথে ৩৫ মিনিট ও যুবরাজের সাথে ৪৫ মিনিট ধরে পৃথক বৈঠক করেন পম্পেও। রিয়াদে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস এক টুইটবার্তায় জানায়, জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতির পর ইয়েমেনে উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে একমত হয়েছেন পম্পেও ও যুবরাজ।

আল জাজিরা জানিয়েছে, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়েও সৌদি আরবকে চাপ দিয়েছেন পম্পেও। এর জন্য দায়ী প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সৌদি আরবের রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কাতারে সাংবাদিকদের পম্পেও বলেন, ‘আমরা যুবরাজের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখব এবং সৌদিদের দায়িত্ব হচ্ছে জামাল খাশোগির এ হত্যার ঘটনা উদঘাটন করা। কেননা এ হত্যা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এ বিষয়ে আমাদের কাছে সব তথ্যপ্রমাণ আছে। সুতরাং জড়িতদের আইনের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
রিয়াদে পৌঁছানোর পর পম্পেও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবাইর এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সাথে আলোচনাকালে খাশোগি হত্যার ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রাখতে চাপ দেন।

এর আগে ১৩ জানুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের অবরোধে উপকৃত হচ্ছে তাদের শত্রুরাই। মাইক পম্পেও বলেন, ‘যখন আমরা সবাই একত্রে কাজ করি এবং আমাদের মধ্যে কোনো বিবাদ না থাকে, তখন আমরা সবাই শক্তিশালী হই। যেখানে আমাদের যৌথ স্বার্থ রয়েছে সেখানে বিবাদ বাড়ানো কোনো পক্ষের জন্যই ভালো নয়।’ এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুর রহমান বিন জাসিম আলে সানি।

সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখাটা যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয়। যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরানকে প্রতিরোধ করতে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা, বিবাদ মীমাংসা করে মধ্যপ্রাচ্যের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে নিয়ে ন্যাটোর মতো একটি জোট গঠন করা হবে, যাতে সদস্য হিসেবে বিবদমান দু’পক্ষের দেশগুলোর পাশাপাশি থাকবে জর্ডানও। এ জোটের নাম ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স অব দ্য মিডল ইস্ট’ (মেসা)।

 


আরো সংবাদ



premium cement