জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী পুরস্কার পেলেন সুদানী চিকিৎসক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৩, আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৬
দক্ষিণ সুদানের এক চিকিৎসককে মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার মর্যাদাপূর্ণ নানসেন পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ইউএনএইচসিআর একথা জানিয়েছে।
ওই চিকিৎসক এমন একটি হাসপাতাল চালান যেখানে অপারেশন থিয়েটারে প্রয়োজনীয় সরাঞ্জামাদি নেই বললেই চলে এবং জেনারেল অ্যানেস্থিশিয়াও নিয়মিত সরবরাহ করা হয় না। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি রোগী চিকিৎসা নেয়।
ইউএনএইচসিআর জানায়, ইবান আতার আদাহা নামের ওই চিকিৎসকের হাসপাতালটি দক্ষিণ সুদানের বুঞ্জ শহরে অবস্থিত। মাবান নামের হাসপাতালটিতে প্রতিবেশী সুদানের ব্লু নীল রাজ্যের ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি শরণার্থীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাটি জানায়, হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি ভাঙ্গা। তা সত্ত্বেও আতার ও তার দল সপ্তাহে প্রায় ৬০টি অস্ত্রোপচার করে। অপারেশন থিয়েটারে মাত্র একটি বাতি আছে। স্টাফরা জেনারেল অ্যানেস্থিশিয়ার পরিবর্তে কেটামাইন ইনজেকশন ও মেরুদণ্ডে এপিডুরালস ইনজেকশন ব্যবহার করে।
ইউএনএইচসিআর এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, আতারের ‘গভীর মানবতাবোধ ও স্বার্থহীনতা’ হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
আতার এর আগেও ব্লু নীলে একটি হাসপাতাল চালিয়েছিলেন। ২০১১ সালে খার্তুম সরকার ও বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে তিনি সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হন।
লীগ অব নেশনস এর শরণার্থী বিষয়ক প্রথম হাই কমিশনার নরওয়ের ফ্রিজফ নানসেনের নামে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেয়া হয়।