পারমাণবিক চুল্লি বানাবে মিসর
- মিডল ইস্ট মনিটর
- ১৩ আগস্ট ২০১৮, ০৯:২০, আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০১৮, ০৯:২৬
রাশিয়ার সহকারী শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী জর্জি কালামানোভ বলেছেন- ২০২০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ দাবা পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে মিসর অনুমতি পাবে। এখন রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা পারমাণবিক কেন্দ্রটির নকশা চূড়ান্ত করার কাজের পাশাপাশি নির্মাণ এলাকায় জরিপ চালাচ্ছেন।
২০১৫ সালে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের দাবা এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে মিসর। দেশটিতে প্রথমবারের মতো এই ধরনের কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানে সেটিই ছিল প্রথম চুক্তি। ওই চুক্তি অনুযায়ী ওই প্রকল্পের জন্য মস্কোর কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে কায়রো।
২০১৬ সালে মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, ওই ঋণের পরিমাণ আড়াইশো কোটি মার্কিন ডলার। এতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজে ৮৫ শতাংশের অর্থের যোগান দেওয়া হবে। ৩৫ বছর মেয়াদে এই অর্থ শোধ করতে হবে কায়রোকে। বাকি ১৫ শতাংশ অর্থের যোগান দেবে মিসর।
দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি চুল্লি থাকবে। এর প্রতিটি থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে মূল্যস্ফীতি ও বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়ার জন্য অনেকেই মিসরের সমালোচনা করে থাকেন।
গোপন বৈঠকে জর্ডান-মিসর-সৌদি আরব ও ইসরাইলের গোয়েন্দারা
ইন্টিলিজেন্ট অনলাইন ও আরুজ শেবা, ২৯ জুন ২০১৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে ইসরাইল এবং কিছু আরব দেশের গোয়েন্দা প্রধানরা একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ফিলিস্তিনিদের সম্মতি ছাড়াই ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সঙ্কট সমাধানে বিতর্কিত শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তোড়জোড় শুরু করার মধ্যেই গোপন এ বৈঠকের খবর এলো।
ফরাসি সংবাদ মাধ্যম 'ইন্টিলিজেন্ট অনলাইন' বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা এবং ইহুদি জামাতা জারেড কুশনারের তত্ত্বাবধানে জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব এবং ইসরাইলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্রধান ইয়োসি কোয়েন এক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন কূটনীতিক জেসন গ্রিনব্লাটও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের গোয়েন্দা প্রধান মাজেদ ফারাজও যোগ দিয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। তবে সেখানে কোনো প্রতিনিধি পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি কর্তপক্ষ।
ফারাজকে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের স্থলাভিষিক্ত করার ব্যাপারে ওয়াশিংটন চিন্তাভাবনা করছে বলেও ফরাসি সংবাদ মাধ্যমটি দাবি করেছে। তবে বৈঠকটি কোথায় এবং কখন অনুষ্ঠিত হয়েছে সে ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমটি কিছু বলেনি। এদিকে, বৈঠকটি দশ দিন আগে অনুষ্ঠিত হয় বলে ইসরাইলের সংবাদ মাধ্যম আরুজ শেবা জানিয়েছে।