মুরসির বিচার স্থগিত, মিসরে কীসের ইঙ্গিত?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ জুলাই ২০১৮, ১০:৩৭
সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিচার স্থগিত করেছে দেশটির একটি আদালত। মিসরের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত অবৈধ প্রবেশ- নামে পরিচিত একটি মামলা আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে কায়রোর অপরাধ আদালত।
২০১২ সালের ৩০ জুন মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসি। এর এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
তখন থেকেই মুরসি আর তার হাজার হাজার সমর্থক বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। মানবাধিকার গ্রুপগুলো এসব বিচারকে রাজনৈতিক আখ্যা দিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি মিসর সরকার।
২০১৩ সালের ওই অভ্যুত্থানের পর মিসরীয় কর্তৃপক্ষ বিরোধী আর সমালোচকদের ওপর নজিরবিহীন দমন অভিযান শুরু করে। অভিযোগ রয়েছে অনেককেই বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে, গুম করে ফেলা হয়েছে।
ফাঁসির সেলে মুরসি, হত্যার হুমকি!
এএফপি, ২১ মে ২০১৮
মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি টানা পাঁচ রমজান ধরে ফাঁসির সেলে রয়েছেন। মুরসির পরিবার দাবি করেছেন, কারাগারে মোহাম্মদ মুরসিকে বারবার হত্যা করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না তার। হুমকির বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
কারাগারে মিসরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির এই অবস্থার জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সরকারকে দায়ী করেছে মোহাম্মদ মুরসির পরিবার।
মোহাম্মদ মুরসির পরিবারের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্টকে মেরে ফেলার হুমকির পাশাপাশি তাঁর সাথে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করতে না দিয়ে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
মুরসি ২০১৩ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। এই ৫ বছরে মাত্র দুবার তাকে তার পরিবার ও আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা