‘যে ভয়কে জয় করে সেই প্রকৃত সাহসী’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ জুলাই ২০১৮, ১১:৫৫
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক, কিংবদন্তি নেতা এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নেলসন ম্যান্ডেলার নেলসন ম্যান্ডেলা বক্তা হিসেবে ছিলেন দারুণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত প্রিয় এই নেতা বলেছিলেন-
আমি সাদাদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং আমি কালোদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমি আদর্শিক গণতন্ত্র এবং মুক্ত সমাজের প্রশংসা করি, যেখানে সকল ব্যক্তি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে এবং সমান সুযোগ লাভ করবে। এটি হচ্ছে একটি আদর্শিক অবস্থান, যার মধ্যে দিয়ে বাঁচা দরকার এবং আমি তা অর্জনের আশা করি, কিন্তু এটি এমন এক আদর্শ, যদি প্রয়োজন পড়ে, তার জন্য আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত।
আমার সফলতার ভিত্তিতে আমাকে বিচার করো না, আমাকে বিচার কর আমার ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ানোর ভিত্তিতে।
আমি সাধু নই, তবে যদি সাধুকে এমন এক পাপী হিসেবে বিবেচনা কর, যে সৎ হবার জন্য তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাহলে আমি তাই।
ঘৃণা মনকে অন্ধকার করে দেয়। কৌশলের পথ রুদ্ধ করে দেয়। নেতাদের ঘৃণা করা সাজে না।
যদি কেউ ঘৃণা করতে শেখে তাহলে সে ভালোবাসা শিখে নিতে পারে। ঘৃণা নয়, মানব হৃদয়ে স্বাভাবিকভাবে ভালোবাসার জন্ম হয়।
ঘৃণা নিয়ে কেউ জন্ম গ্রহণ করে না।
সাহসী মানুষেরা শান্তির জন্য ক্ষমা করতে ভীত নয়।
পৃথিবীতে প্রতিশোধ গ্রহণের মাধ্যমে আপনি যতটা অর্জন করতে পারবেন, তার চেয়ে ঢের বেশি অর্জন করতে পারবেন ক্ষমা প্রদর্শনের মাধ্যমে।
যেখানে এক সময় থাকে বেদনার বসবাস, খেলাধুলা সেথায় করতে পারে আশাবাদের চাষ।
পেছন থেকে নেতৃত্ব দাও- আর সাথে অন্যদের বিশ্বাস দাও যে নেতারা আছে সম্মুখসারিতে। বিজয় উদযাপনকালে ও সুসময়ে পেছন থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ভালো, অন্যদের ভাবতে দিতে হবে যে তারাই সামনে আছে। তুমি তখনই সামনে আসতে পারো যখন সম্মুখে বিপদ; তাহলেই জনগণ তোমার নেতৃত্বকে মূল্যায়ণ করবে।
আমি বর্ণবাদকে ঘৃণা করি কারণ এটা একটা বর্বর বিষয়, তা সে কালো বা সাদা যে কোন মানুষের কাছ থেকে আসুক না কেন।
সবসময়, যতক্ষণ না কাজ সমাধা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তা এক অসম্ভব বিষয় বলে মনে হয়।
যে কোন কিছুতে ভীত নয়; সে নয়, বরঞ্চ যে ভয়কে জয় করে সেই হচ্ছে প্রকৃত সাহসী।
সম্মান তাদের প্রাপ্য, যারা কখনো সত্যকে পরিত্যাগ করে না, এমনকি যখন পরিস্থিতি অন্ধকারচ্ছন্ন এবং বেদনাদায়ক।
কেবল শৃঙ্খলহীন হওয়া নয়, বরং স্বাধীন হওয়া মানে শ্রদ্ধা এবং অন্যের স্বাধীনতা বৃদ্ধির সাথে বসবাস।
শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র, যার মধ্যে দিয়ে পৃথিবীকে বদলে ফেলা যায়।
বলা হয়ে থাকে যে সত্যিকার অর্থে কেউ একটি জাতিকে জানতে পারে না যতক্ষণ না কেউ একজন এর কারাগারে বন্দী থাকে।
যখন একজন মানুষ বিবেচনা করা যে নিজ জাতি এবং স্বদেশের প্রতি সে তার দায়িত্ব পালন করেছে, তখন সে শান্তিতে মৃত্যুবরণ করতে পারে।
কোনো মানুষ বা প্রতিষ্ঠান আমার মর্যাদা হরণ করতে চাইলে পরাজয় তারই হবে।
মানুষের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করা তার মানবিকতাকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল।
সমাজে এমন অনেক লোক আছেন যারা বিশেষ কোনো পদমর্যাদার অধিকারী নন। কিন্তু সমাজের উন্নতিতে তাদের ভুমিকা এবং অবদান অনেক।
তুমি যদি সাধারণ ভাষায় মানুষের সাথে কথা বলো, তাহলে সে বুঝবে; কথা মাথায় ঢুকবে। আর তুমি যদি তার ভাষায় কথা বলো তাহলে সেটা তার হৃদয়ে গেঁথে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা