তেলাপিয়া মাছ নিয়ে উদ্বেগ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জুলাই ২০১৮, ১০:৪২
আফ্রিকার দেশ ঘানায় তেলাপিয়া মাছ বেশ জনপ্রিয়। দেশটিতে মাছ চাষিদের মধ্যে অনেক নারী আছেন যারা তেলাপিয়া চাষ করেন বা লেক থেকে সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন।
সম্প্রতি দেশটির সরকার বিদেশ থেকে তেলাপিয়া আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আর এ নিয়ে মাছ চাষিদের অনেকে যেমন খুশি তেমনি আবার অনেকে উদ্বিগ্ন।
পশ্চিম আফ্রিকায় বেশ ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশ ঘানা। প্রায় তিন কোটি লোকের এ দেশে খাবার হিসেবে মাছ বেশ জনপ্রিয়। সেখানকার একজন মাছ চাষি জেনেফা সোজি।
মূলত তেলাপিয়া মাছের চাষ করেন তিনি। গত সাত বছর ধরে তিনি ভলটা লেকে তেলাপিয়ার চাষ করছেন।
নিজের কাজের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, পাঁচটি খাঁচায় তেলাপিয়ার চাষ শুরু করেছিলেন তিনি।
‘তখন এতে কম করে হলেও ১০ হাজার মাছ ছিলো ।পরে আমি খাঁচার সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করি। এরপর ২০টি।’
জানেফার খামার ও ব্যবসা দিনে দিনে বাড়ছিলো। কিন্তু এরপর স্থানীয় তেলাপিয়া শিল্পে আঘাত আসে অন্তত দুটি দিক থেকে।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর কয়েক হাজার টন তেলাপিয়া উৎপাদিত হতো আমার খামারে। কিন্তু বিদেশ থেকে তেলাপিয়া আমদানি বেড়ে গেলে আমাকে সেটি কমিয়ে তিনশ টনে সীমাবদ্ধ করতে হয়েছে। আমার ২৭ জন কর্মচারী ছিলো আর এখন আছে মাত্র ছয়জন।’
তেলাপিয়া শিল্প আরেকটি বড় আঘাতের মুখোমুখি হয় তখন বিশ্বব্যাপী এ মাছের একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় অসংখ্য মাছ। ফলে বিপর্যয়ে পড়েছে ঘানার মাছের খামারগুলো।
এদের সুরক্ষা দিতেই সরকার সেখানে মাছ আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। আর তাতে দারুণ খুশী জেনেফা।
‘এটি বাস্তবায়ন হলে আমরা স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আরও মাছ উৎপাদন করতে সক্ষম হবো এবং সম্ভব হলে রফতানির দিকেও আমরা দৃষ্টি দিতে পারি। একই সাথে আমাদের উৎপাদন সক্ষমতাও আরও বাড়াতে পারবো।’
এভাবেই চলছে মাছ চাষ
যদিও মাছ চাষিদের অনেকে আবার মনে করছেন নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকে ভাবতে পারে যে মাছ হিসেবে তেলাপিয়া নিরাপদ নয়।
আর এর কারণে স্থানীয় ভোক্তারাও মুখ ফিরিয়ে নিলে নতুন করে বিপাকেই পড়বেন তারা।
তবে এ মতের সাথে একমত নন জেনেফার সোজি।
তার বিশ্বাস এটিই সঠিক পদক্ষেপ যা তার দেশের সরকার নিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা