১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

মারবার্গ ভাইরাসে তানজানিয়ায় ৮ জনের মৃত্যু

- ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার জানিয়েছে, তানজানিয়ায় সন্দেহজনক মারবার্গ নামের এক অতি সংক্রামক ভাইরাসে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটি এবং এই অঞ্চলে এই ভাইরাস আরো ছড়িয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে। জেনেভা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

জাতিসঙ্ঘ স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার-এর সদস্য দেশ তানজানিয়ায় কাগেরা অঞ্চলে সন্দেহজনক মারবার্গ ভাইরাস রোগের (এমভিডি) প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নয়জনের আক্রান্তের বিষয়ে অবগত হয়েছি, যার মধ্যে আটজন মারা গেছেন।

ডব্লিউএইচও তানজানিয়া সরকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়কে পূর্ণ সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে।

প্রতিবেশী রুয়ান্ডায় তিন মাস ধরে মারবার্গের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই ঘোষণা আসে, যেখানে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মারবার্গ ভাইরাসের কারণে অত্যন্ত সংক্রামক রক্তক্ষরণজনিত জ্বর হয়। ইবোলা ভাইরাসের মতোই মারবার্গ ভাইরাস বাদুড়ের সংস্পর্শে আসা ফল থেকে সংক্রামিত হয় এবং সংক্রমিত ব্যক্তি থেকেও ছড়াতে পারে ভাইরাসটি।

ভাইরাসটি সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগীর সাধারণত প্রচণ্ড জ্বর হয়, আর-এর সাথে রক্তক্ষরণ এবং দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গও বিকল হতে পারে এবং এতে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, কাগেরা অঞ্চলে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রথম মারবার্গের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, যা প্রায় দু’মাস স্থায়ী হয় এবং নয়জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ আরো বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশগুলিকে সতর্ক থাকার এবং সম্ভাব্য আক্রান্তদের সেবা প্রদান করার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। আমরা এই সময়ে তানজানিয়ার সাথে ভ্রমণ বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করছি না।

ডব্লিউএইচও বলছে, মারবার্গ ভাইরাস সহজে ছড়ায় না। অসুস্থ রোগীর শরীরে তরলের সংস্পর্শে আসার প্রয়োজন হয়। পানি বা তরল গ্রহণ করলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।


আরো সংবাদ



premium cement