মোজাম্বিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ৫০০০ বাংলাদেশী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:২১
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুনে ছারখার হয়ে যাচ্ছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দাঙ্গা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ নাগরিক নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন, ভিনদেশীরাও পড়েছেন বেশ বিপাকে।
জানা গেছে, পূর্ব আফ্রিকার এ দেশটিতে বৈধ-অবৈধভাবে বসবাস করেন প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মোজাম্বিকে থাকা বাংলাদেশীদের বেশিরভাগই ব্যবসার সাথে যুক্ত। গত ১০ দিনে এ বাংলাদেশীদের কয়েক শ’ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এবং বাসাবাড়িতে হামলা-লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা।
গত অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে রাজনৈতিক উত্তেজনার শুরু, উপলক্ষ্য নির্বাচন। ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী শক্তির মধ্যে সঙ্ঘাত চলছে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে।
৯ অক্টোবর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে বিরোধী দলগুলো। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু দেশটির আদালত ফ্রেলিমো দলের ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। আদালতের এ সিদ্ধান্তে বিরোধী প্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলানের সমর্থকরা রীতিমতো ফুঁসে উঠে এবং মোজাম্বিকে শুরু হয় দাঙ্গা।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট মতে, সেই হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক প্রাণ ঝরে গেছে। প্রাণে বাঁচতে মোজাম্বিকের পাশের দেশ মালাউইতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। যার মধ্যে বাংলাদেশীও রয়েছেন। গত বড়দিনে মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতোর কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৩ জন, সেইসাথে কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন দেড় হাজারেরও বেশি কয়েদি।
মোজাম্বিকে ফ্রিলিমো পার্টি ক্ষমতায় আছে ১৯৭৫ সাল থেকে। ওই বছরই দেশটি পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা পায়। ৪৯ বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলটির বিরুদ্ধে স্বৈরশাসন চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। মূলত পর্তুগালের বাংলাদেশ মিশন মোজাম্বিকের বাংলাদেশীদের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে আটকেপড়া বাংলাদেশীদের উদ্ধারে দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশী দূতাবাসকে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা