১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজধানীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে গোখাদ্য তৈরির কারখানা সিলগালা

রাজধানীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে গোখাদ্য তৈরির কারখানা সিলগালা - ছবি : নয়া দিগন্ত

অনুমোদনহীন নিম্নমানের ভেজাল গোখাদ্য তৈরির অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। প্যাকেটে নামিদামি কোম্পানির নাম ব্যবহার করে খামারিদের চোখ ফাঁকি দিচ্ছে এ অসাধু চক্র।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই চক্রটিকে ধরতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বসিলায় দয়াল হাউজিংয়ে মেঘডুমি ক্যাটেল ফিড কারখানায় ভেজাল প্রাণিখাদ্য তৈরির সন্ধান পাওয়া যায়।

জরিমানাসহ কারখানাটি সিলগালা করে দেয় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুস সালামের নেতৃত্বে মেঘডুমি ক্যাটেল ফিড কারখানায় অভিযান চালানো হয়।

মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে গোখাদ্য তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করেই উৎপাদন ও বিপণন করা হচ্ছে। এসব খাদ্য গবাদিপশুকে খাওয়ানো হলে তা বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির মালিক আলী শাহিন সামীকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, মেঘডুমি ক্যাটেল ফিড কারখানা প্রতিদিন শত শত বস্তা গোখাদ্য তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কোনো অনুমোদনও নেই। শুধু তাই নয় খাদ্যমান নিশ্চিতে নেয়া হয়নি বিএসটিআইর (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) সনদ। উৎপাদিত বিষাক্ত ওষুধ গবাদিপশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এ গরুর মাংস খেলে মানুষ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে প্রাণিজ খাবারের ভেজাল কারখানা আছে অন্তত তিন হাজার। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিয়েও ভেজাল গোখাদ্য তৈরি করছে। অথচ এসব বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কোনো তদারকি নেই। কিছু কর্মকর্তাকে খুশি করেই এমন ভেজাল কারখানা চলছে। মেঘডুমি ক্যাটেল ফিড কারখানার মালিক আলী শাহিন সামীকে বার বার ফোন করা হয়েও তিনি রিসিভ করেননি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, যেকোনো পশুখাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এ ছাড়া কারখানা স্থাপনে পরিবেশ অধিদফতরসহ অন্য দফতরেরও অনুমোদন লাগে। অনুমোদনহীন এসব কারখানার তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল