১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

রাজধানীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে গোখাদ্য তৈরির কারখানা সিলগালা

রাজধানীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে গোখাদ্য তৈরির কারখানা সিলগালা - ছবি : নয়া দিগন্ত

অনুমোদনহীন নিম্নমানের ভেজাল গোখাদ্য তৈরির অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। প্যাকেটে নামিদামি কোম্পানির নাম ব্যবহার করে খামারিদের চোখ ফাঁকি দিচ্ছে এ অসাধু চক্র।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই চক্রটিকে ধরতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বসিলায় দয়াল হাউজিংয়ে মেঘডুমি ক্যাটেল ফিড কারখানায় ভেজাল প্রাণিখাদ্য তৈরির সন্ধান পাওয়া যায়।

জরিমানাসহ কারখানাটি সিলগালা করে দেয় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুস সালামের নেতৃত্বে মেঘডুমি ক্যাটেল ফিড কারখানায় অভিযান চালানো হয়।

মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে গোখাদ্য তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করেই উৎপাদন ও বিপণন করা হচ্ছে। এসব খাদ্য গবাদিপশুকে খাওয়ানো হলে তা বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির মালিক আলী শাহিন সামীকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, মেঘডুমি ক্যাটেল ফিড কারখানা প্রতিদিন শত শত বস্তা গোখাদ্য তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কোনো অনুমোদনও নেই। শুধু তাই নয় খাদ্যমান নিশ্চিতে নেয়া হয়নি বিএসটিআইর (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) সনদ। উৎপাদিত বিষাক্ত ওষুধ গবাদিপশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এ গরুর মাংস খেলে মানুষ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে প্রাণিজ খাবারের ভেজাল কারখানা আছে অন্তত তিন হাজার। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিয়েও ভেজাল গোখাদ্য তৈরি করছে। অথচ এসব বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কোনো তদারকি নেই। কিছু কর্মকর্তাকে খুশি করেই এমন ভেজাল কারখানা চলছে। মেঘডুমি ক্যাটেল ফিড কারখানার মালিক আলী শাহিন সামীকে বার বার ফোন করা হয়েও তিনি রিসিভ করেননি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, যেকোনো পশুখাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এ ছাড়া কারখানা স্থাপনে পরিবেশ অধিদফতরসহ অন্য দফতরেরও অনুমোদন লাগে। অনুমোদনহীন এসব কারখানার তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অগ্নি-প্রতিরোধ মহড়া ১৯ জানুয়ারি পাটগ্রামে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল দিল বিএসএফ ফায়ার সার্ভিসের ৬ কর্মকর্তার পদোন্নতি আরো ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব কারাজীবনের অবসান, কাল মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর সীমান্ত ইস্যু এক দিনে সমাধান সম্ভব নয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বচ্ছ কাঁচের ঘরে রিমান্ডের সুপারিশ পুলিশ সংস্কার কমিশনের রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত এনবিআরের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ৯০ শতাংশ মানুষ : সংস্কার কমিশন গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার শরীয়তপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালালের লাশ উত্তোলন

সকল