০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জিলহজ ১৪৪৫
`
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর

এবার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগ আরেক কর্মকর্তার

এবার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগ আরেক কর্মকর্তার - ছবি: সংগৃহীত

গত ১৪ জুন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের রাজধানীর বাসার অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে মারধরের শিকার হয়েছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মলয় কুমার শূর।

এ ঘটনায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (লিভ, ডেপুটেশন অ্যান্ড ট্রেনিং রিজার্ভ) মো: আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন তিনি। ঘটনার ২০ দিন পর ডা. মলয় কুমার শূরসহ আরেক দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগ আনলেন ডা. আজিজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে তিনি এই মামলাটির আবেদন করেন। আদালত এ সময় বাদির জবানবন্দী নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেগিস্টগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন অধিদফতরের প্রাণিসম্পদ সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো: আনিছুর রহমান ও সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক অসিম কুমার দাস।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (লিভ, ডেপুটেশন অ্যান্ড ট্রেনিং রিজার্ভ) ডা. আজিজুল ইসলাম প্রতিদিনের মতো গত ২৪ জুন বেলা ১১টার দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্দেশে বের হন। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরদের প্রধান কার্যালয় ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের (কেআইবি) মাঝামাঝি জায়গায় আগে থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওঁৎ পেতে ছিলেন আনিছুর রহমান ও অসিম কুমার। আজিজুল ইসলাম সেখানে পৌঁছালে তারা তার গাড়ি রোধ করে। আজিজুল গাড়ি থেকে নামলে আনিছুর রহমান তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং মলয় কুমার তার গলা চেপে ধরেন। অসিম কুমার তাকে পিটিয়ে আহত করেন। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আনিছুর রহমান তার পকেটে থাকা ২২ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যান। পরে অন্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আবেদন করেন বাদি।

ডা. আজিজুল ইসলাম তার ওপর হামলা এবং তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ডা. মলয় কুমার শূরকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মাফিয়া হিসেবে উল্লেখ করেন। হামলার ঘটনায় তিনি ডা. মলয়সহ অন্য দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।

এ বিষয়ে মলয় কুমার শূরকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ডা: অসিম কুমার দাস ডা. আজিজুলের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, মূলত কিছুদিন আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বাসার লিফটে আমাদের পরিচালক ডা. মলয় কুমার শূরকে হামলা করেন ডা: আজিজ। আহত অবস্থায় আমি এবং ডা. আনিস পরিচালক মহোদয়কে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। এ ঘটনায় হয়তো আমাদের দু’জনকে পুলিশ সাক্ষী করতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে মামলার আবেদন করেন তিনি (ডা. আজিজুল)। তবে, মামলা হয়নি। আদালত পিবিআইকে এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement