১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে : আইজিপি

কথা বলছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। - ছবি : সংগৃহীত

পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করার কোনো সুযোগ নেই, পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। যাদের অবৈধ সম্পদ থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের দ্বন্দ্বের বিষয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরসন হবে।

পরীমণি কাণ্ডে আইজিপি বলেন, যেকোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল তা প্রমাণ হওয়ায় সাকলাইনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রায় ১০০ বছরের ওপরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে আসছি। এক সময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। সেই নীতির আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে ভিন্নমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো তালা লাগানো থাকে না। সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। বিল্ডিং এবং জনবল বাড়বে এটা আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্য দিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।

পুলিশের আইজি বলেন, সুন্দরবন কখনো শান্ত ছিল না, দস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেছেন। এক সময় খুলনার জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় আমরা সেই সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। খুলনা এখন শান্তির নগরী।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এদেশের মানুষের সেবা দিয়ে গর্বিত হতে চায়। এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘দেশ সেবাই আমাদের আনন্দ, সেবাই আমাদের উৎসব’। সেই সেবাকে ব্রত নিয়ে আমরা কাজ করছি।

এর আগে তিনি ৪ তলা অস্ত্রাগার ভবন, ৬ তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।

পরে তিনি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হকসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মহিষ চুরির সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা গদখালীতে শত কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা চাষিদের ‘এখন আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?’ প্রশ্ন শহিদ সোহাগের স্ত্রীর ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে’ ট্রাম্পের শপথের আগে কিয়েভে হামলা জোরদার মস্কোর মেহেরপুরে ২টি বোমাসাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার শায়েস্তাগঞ্জে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা, শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে ১ কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় ৫৪২ টাকা দেশে বিরাজনীতিকরণের প্রয়াস চলছে : রিজভী নতুন সুযোগে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই : মির্জা ফখরুল ‘জাতিকে মেধাশূন্য করতেই ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড’

সকল