সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর আপাতত সিদ্ধান্ত নেই : জনপ্রশাসন মন্ত্রী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ মে ২০২৪, ২০:৩৮
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের নেই জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।
সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আরো আলাপ-আলোচনা করা হবে। তবে আপাতত বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। আগামীতে বাড়াবো কী-বাড়াবো না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা? এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। বিষয়টি আরো আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখবো, তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর সেখান থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সাথে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।’
চাকরিতে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার (অবসর) বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরি ঘিরে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সাথে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বয়স বাড়ানোর বিষয়টি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্রাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএসের মাধ্যমে দেখে থাকি ২২-২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬-৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স- আগামীতে বাড়াবো কী বাড়াবো না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা? এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’
সরকারি দলের অপর সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর বিষয়ে একটি পত্র আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি। এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আরো আলাপ-আলোচনা করবো।’
সূত্র : বাসস