নগদ টাকা বহনে ‘মানি এস্কর্ট’ সার্ভিস দেবে ডিএমপি

আসন্ন পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ টাকা উত্তোলন করে বহন করতে পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তাদেরকে ‘মানি এস্কর্ট’ সেবা দেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এই সেবা প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যানবাহনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থের লেনদেন ও স্থানান্তর বৃদ্ধি পাবে। এজন্য যদি কারো এস্কর্ট সেবা প্রয়োজন হয় তাদেরকে এই সেবা দেবে ডিএমপি।

এই সহায়তা প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কাছের থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পুলিশ কন্ট্রোলরুমের নম্বরগুলো হচ্ছে-

ফোন: ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯, ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬। এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯।

এছাড়া টাকা উত্তোলন ও পরিবহনে কিছু বিষয় মেনে চলার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো :

১। বড় অঙ্কের অর্থ একা বহন না করে সাথে একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তি সাথে রাখা যেতে পারে। অর্থ বহনের বিষয়ে কোনো তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

২। পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় নগদ টাকা বহন না করে গাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩। নগদ টাকা বহনের আগে নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনার দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতকারীদের এ তথ্য না জানায়।

৪। এ সময় দৈনিক নগদ টাকা বহনের প্রয়োজন হলে আলাদা আলাদা সড়ক ব্যবহার করা যেতে পারে। যাতে দুষ্কৃতকারীদের কেউ সুবিধা নিতে না পারে।

৫। টাকা বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়।

৬। টাকা বহনের সময় সব টাকা একসাথে না রেখে আলাদা জায়গায় যেমন : পকেটে, ব্যাগে, সাথে থাকা ব্যক্তির কাছেও আলাদা করে রাখা যেতে পারে।

৭। নির্জন পথ বা কোনো গলি ব্যবহার না করে ব্যস্ততম ও বড় সড়ক ব্যবহার করা যেতে পারে।

৮। জ্যামে বা ট্র্যাফিক সিগন্যালে পড়লে অতিরিক্ত সচেতন থাকতে হবে।

৯। সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সাথে লেনদেন করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর বুঝার চেষ্টা করতে হবে সন্দেহজনক কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে কি-না।

১০। বড় অঙ্কের টাকা পরিবহনে বা বেশি টাকার লেনদেনের কাজ রাতে না করে দিনের বেলায় শেষ করা।

১১। এটিএম বুথের অভ্যন্তরে থাকা কোনো গোপন ক্যামেরায় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত গোপন নম্বরটি ধারণ করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

১২। ব্যাংকের টাকা ট্রান্সফারের কাজটি চেক ব্যবহারের মাধ্যমে শেষ করা যেতে পারে। এছড়া বড় অঙ্কের টাকা পরিবহনে পুলিশ এস্কর্ট সেবা নেয়া যেতে পারে।