২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও শিল্পসচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

কামরুল হাসান ও জাকিয়া সুলতানা - ছবি : সংগৃহীত

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: কামরুল হাসান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এই দু’ সচিবের মধ্যে কামরুল হাসান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজারের ডিসি ছিলেন। তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

আর জুলাই-আগস্ট বিল্পবের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে জাকিয়া সুলতানাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপন জারির আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোখলেস উর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ অনুষ্ঠিত নির্বাচন, সেটাকে আমরা কেউ বলি বিতর্কিত, কেউ বলি অগ্রহণযোগ্য আবার কেউ বলি দিনের ভোট রাতে ইত্যাদি। এ সমস্ত জায়গায় যেসব রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এই তিন সময়ের রিটার্নিং অফিসারদের সহযোগিতায় তৎকালীন সরকার তিন মেয়াদ থেকেছে। যার কারণে আজকে আমারা এ দুরাবস্থায় পড়েছি। তারা (ওই সময়ের ডিসিরা) অনেক বড় নেগেটিভ ভূমিকা রেখেছিল। কোনো একজন ডিসিও বলেনি আমি প্রতিবাদ করব। আমি রিটার্নিং অফিসার থাকব না। আমি রিজাইন করলাম, কাজ করব না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরাই এরই মধ্যে ৪৩ জনকে (ডিসি) ওএসডি করেছি। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম তাদের ওএসডি করা হয়। আর চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি হলে আমরা বাধ্যতামূলক অবসর দিচ্ছি।’

এছাড়া, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে যুগ্ম-সচিব ধনঞ্জয় দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আওয়ামী লীগের আমলের আরেক বিতর্কিত কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানাকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তার চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে।

তিনি প্রশাসনের ক্যাডার সার্ভিসের নারী কর্মকর্তাদের সংগঠন বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের মহাসচিব ছিলেন। আওয়ামী লীগের সময় প্রতাপশালী পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম তার স্বামী ছিলেন। তার স্বামী মনিরুল ইসলামকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement