২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

এখনো উদ্ধার হয়নি ১৪০০ অস্ত্র, আড়াই লাখ গুলি

এখনো উদ্ধার হয়নি ১৪০০ অস্ত্র, আড়াই লাখ গুলি - ছবি : সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে লুট হওয়া এক হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ।

তিনি বলেন, পাশাপাশি আড়াই লাখ বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এ সময়ে দেশজুড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ডিসিদের কী কী নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে আবদুল হাফিজ জানান, ‘দু-একটি জেলায় অস্ত্র এবং গোলাবারুদ যেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, সেগুলো কিভাবে তাড়াতাড়ি ধ্বংস করা যায় সেটা সম্পর্কে প্রশ্ন ছিল। আগামী দিনে তাদের কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, যেমন-আমি উল্লেখ করেছি যে, প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি; যেগুলো ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হয়ে গিয়েছিল। আড়াই লাখ বিভিন্ন ধরনের গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি, সেগুলো তাদের জেলায় কোনো না কোনো জায়গায় আছে। সেগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে এবং তারা ব্যবহার করতে পারে।’

উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, ‘প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। তিন ভাগের চার ভাগ উদ্ধার হয়ে গেছে। ৬ লাখ গুলির মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ উদ্ধার করা যায়নি, তার মানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলো পযায়ক্রমে চলমান যে অভিযান আছে সেগুলোর মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’

আবদুল হাফিজ বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি, স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হচ্ছে এবং তারা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দেশকে একটা অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে হবে। আমি আরো উল্লেখ করেছি, সামনে রমজান আসছে, তখন তাদের ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে, দ্রব্যমূল্যের বাজারদর তারা যেন নিজ নিজ এলাকায় কম রাখতে পারেন। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যেন মোকাবেলা করতে পারেন।’

‘আমি বলেছি সাধারণ মানুষের তিনটা প্রত্যাশা। এটা আকাশচুম্বী নয়। তারা নিরাপদে চলাফেরা করতে চায়, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চায় এবং দ্রব্যমূল্য তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যেন থাকে এবং যে সেবা সরকারের কাছে তাদের পাওয়ার কথা; সেটা যেন কোনো ঝামেলা ছাড়া পেতে পারে। আমি বলেছি, মাঠ পর্যায়ে যারা আছে, মানুষের জন্য তারাই সরকার,’ যোগ করেন আবদুল হাফিজ।

চলমান অভিযানের বিষয়ে আবদুল হাফিজ বলেন, চলমান অভিযান যেটা আছে সেটা চলবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে সরকার সেখানে ব্যবস্থা নেবে।

উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, সিভিল প্রশাসনের সাথে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বুঝাপড়া আরো কিভাবে করা যায় সেটি আলোচনায় এসেছে। যুব সমাজের জন্য ইউনিভার্সেল মিলিটারি ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা যায় কিনা-সেখানে আমাদের যুব সমাজের যারা আছেন তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন। তারা দেশের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement