২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

‘১৮ হাজার কর্মীকে এপ্রিলের মধ্যে মালয়েশিয়া পাঠানোর চেষ্টা চলছে’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব রুহুল আমিন - ছবি : ইউএনবি

ভিসা থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীকে আগামী মার্চ ও এপ্রিলের মধ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব রুহুল আমিন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকার যদি বলে ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিক নেবে, আমরাও ১৫ দিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেব। এখন সবকিছু নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার ওপর।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল আমিন বলেন, ‘যেভাবে আলোচনা চলছে, তাতে আমরা আশা করছি, খুব বেশি সময় লাগবে না। ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব ঠিক করতে পারব। আমরা মার্চ-এপ্রিলে কর্মী পাঠানো শুরু করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করেছে এবং দু’টি বৈঠক হয়েছে, এতে কিছুটা অগ্রগতিও হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আরেকটি বৈঠক হবে। আমাদের যা যা তথ্য দেয়া দরকার-তা দেয়া হয়েছে। তারাও তাদের তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছে। তারা যেভাবে আমাদের কাছে এসেছেন, নীতিগতভাবে অনেক কিছুই মেনে নিয়েছেন। তবে সবকিছু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’

সচিব বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, মন্ত্রণালয় পর্যায়ের আলোচনার পর তারা অনুমোদন দেবেন। এরপর শুরু হবে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। তবে তারা আমাদের সাথে একমত হয়েছেন। ধাপে ধাপে এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য সরকারের পদক্ষেপের দাবিতে একদল আটকে পড়া অভিবাসী শ্রমিকের বিক্ষোভে কারওয়ান বাজারে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।

২০২৪ সালের ৩১ মে রিক্রুটিং অ্যাজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিকদের মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা থাকলেও টিকিট জটিলতার কারণে তারা যেতে পারেননি।

২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশী যে ১৮ হাজার কর্মী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকে আবার নিতে সম্মত হয়েছে দেশটি।’

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement