থার্টি ফার্স্ট নাইটে একসাথে কাজ করবে পুলিশ-পরিবেশ অধিদফতর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২০
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেইসাথে থাকছে পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। যারা একসাথে নাশকতা এবং শব্দদূষণ ঠেকাতে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপি গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
মো: সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রত্যেক ফাঁড়ি থেকে রাতের বেলা কমপক্ষে দু’টি পেট্রোল টিম থাকে, থানা থেকে চারটি-পাঁচটি টিম থাকে। এটা আমাদের রেগুলার ডিপ্লোয়মেন্ট। কিন্তু শুধু থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এর বাইরে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা মনে করছি, এটা যথেষ্ট। আমরা কিছু পয়েন্টকে টার্গেট করেছি। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, ৩০০ ফিট, উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদফতরের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। তারা যেকোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালালে আমাদের ফোর্স তাদের সহযোগিতা করবে।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থার্টি ফার্স্ট উদযাপিত হয়। বেশিভাগ দেশে এটি নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়। তাছাড়া অন্য দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করা হয়, পুরো শহরজুড়ে আতশবাজি করা হয় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরাও এ বছর ঢাকা মহানগরীর একটি নির্দিষ্ট স্থানে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু এ বছর আমরা সেটি পারিনি। আশা করি, আগামী বছর আমরা সেটি আয়োজন করব।’
পুলিশের মনোবল ফিরে এসেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের মনোবলের যে ঘাটতি ছিল, এটি আমরা উতরে উঠেছি। আমাদের এখন কোনো সমস্যা নেই। আমরা যে কোমায় যাওয়ার অবস্থায় গিয়েছিলাম, সেটি থেকে ফিরে এসেছি। আমাদের অফিসারদের মনোবল এখন অনেক ভালো।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা না ফোটানো হয় সেজন্য গত এক সপ্তাহ ডিএমপি রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে ১২৭ কেজি আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা জব্দ করেছে। এ বিষয়ে পাঁচটি মামলা হয়েছে এবং পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এ সময় তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘শুধু পুলিশ বা পরিবেশ অধিদফতর দিয়ে শব্দদূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আপনারা জানেন শব্দদূষণ নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে থাকে। নতুন বছর উদযাপন করতে গিয়ে যেন শব্দদূষণ না হয় সে ব্যাপারে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে দিনে ও রাতে ঢাকা মহানগরীতে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে। আতশবাজি ও পটকা ফুটিয়ে শব্দদূষণ প্রতিরোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও পরিবেশ অধিদফতর একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।’
মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সঞ্চালনায় ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো: নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসানসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা