পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইলে অমানুষিক নিপীড়ন করা হতো
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩৪, আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৪
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানাতে গেলে তাদের ওপর অমানুষিক নিপীড়ন করা হতো। সত্য বলা থেকে বিরত রাখতে তাদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার চালানো হত।
ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডে শহীদ সেনা পরিবারকে পুনর্বাসনের যে প্রচারণা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার চালিয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। কোনো শহীদ পরিবারকে সেখানে কোনো বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলেও শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎকালে তারা এসব কথা বলেন। এসময় তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবি জানান। একইসাথে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানান তারা।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলাপকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার কীভাবে তাদের ওপর মানসিক নিপীড়ন ও হয়রানি করেছে সেসবের বর্ণনা দেন।
শহীদ সেনা সদস্যদের সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়াসহ শহীদ পরিবারকে দেয়া আরো অনেক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি বলেও জানান তারা।
এত বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এত বছর ধরে এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য গোপন রাখতে পারা এটা একটা অবিশ্বাস্য বিষয়। আজ আপনাদের কাছ থেকে অনেক বিষয় জানতে পারলাম।’
প্রফেসর ইউনূস আরো বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সার্মথ্য আছে তা দিয়ে এ সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার সব তথ্য একত্রিত করতে হবে। সারাদেশের মানুষ এ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী। জাতির পক্ষ থেকে আমরা অনুভব করি যে, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদসহ আরো অনেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা