২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘নাগরিকদের তার গন্তব্যে যথাসময়ে পৌঁছানো নিশ্চিত করা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান - সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেছেন, ‘দায়িত্বপালনকালে ট্রাফিক পুলিশকে অনেক সময় বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এরপরও রাষ্ট্রের কর্মচারি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো নাগরিকদের যথাসময়ে তার গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করা।’

শনিবার বিকেলে রাজধানীর কদমতলীতে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে কদমতলী থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজমুল হাসান বলেন, ‘যানজট ঢাকা শহরের একটি সমস্যা। বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর যানজটের কারণে ৩৬ হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়। আমরা সবাই বড় বড় অট্টালিকা তৈরি করি কিন্তু বাড়ির পাশে বা সামনে কোনো রাস্তা রাখতে চাই না। আমরা আত্মকেন্দ্রিক, এ জন্য আমরা সুবিধা বঞ্চিত।’

তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীতে ট্রাফিক পুলিশকে পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। গতকালও উল্টা পথে যাওয়ার জন্য আটক করার কারণে ট্রাফিক পুলিশকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এরপরেও আমাদের দায়িত্ব হলো নাগরিকদের যথাসময়ে তার গন্তব্যে পৌঁছানো। কিভাবে যানজট কমানো যায় সে ব্যাপারে সমাজের সকলে সহযোগিতা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্য যদি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়, আপনারা তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এখানের অধিকাংশ পুলিশ সদস্য নতুন। কাজেই তাদেরকে একটু সময় দিতে হবে। তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু অভিভাবক হিসেবে আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, সেদিকে খোঁজ খবর রাখতে হবে, তাদেরকে কাউন্সেলিং করতে হবে।’

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এরপর গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলকে নিয়ে মোনাজাত করা হয়।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও কদমতলী থানা এলাকার নাগরিকরা জুরাইন রেলগেট হকার মুক্ত করা, কিশোর গ্যাং সমস্যা, মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ, সৎ মানুষ নিয়ে ওয়ার্ড-ভিত্তিক নাগরিক কমিটি করা, অপরাধী চক্রকে গ্রেফতার করা, দনিয়া, রায়েরবাগ-মোহাম্মদপুর এলাকার যানজট সমস্যা, সন্ধ্যার পরে মহল্লার ভেতরে ট্রাক প্রবেশ, অন্ধকার জায়গায় পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা, আবাসিক হোটেলে অনৈতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করা, শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ ও স্থানীয় চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো: মফিজুল ইসলাম আগামী দিনে একটা সুন্দর সমাজ গড়ার জন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও পুলিশিং কার্যক্রমে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

মতবিনিময় সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো: মফিজুল ইসলামসহ ওয়ারী বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement