১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘সমন্বিত প্রচেষ্টায় মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সর্বোচ্চ উন্নতি করা সম্ভব’

পল্লবী থানার সেতারা কনভেনশন হলে থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভা - সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেছেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সর্বোচ্চ উন্নয়ন করা সম্ভব।

তিনি বলেছেন, সকলকে আইন মেনে চলার প্রবণতা বৃদ্ধি করতে হবে ও সহনশীল হতে হবে। জুলাই-আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগরীকে সন্ত্রাস, মাদক ও যানজটমুক্ত করতে না পারলে আর কখনোই সম্ভব না।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পল্লবী থানার সেতারা কনভেনশন হলে থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা। আর এলাকাবাসীর কাজ হচ্ছে পুলিশকে সহযোগিতা করা। আমরা সব সময় আপনাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে চাই এবং আমাদের দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে চাই।

তিনি বলেন, আপনারা সকলেই ট্রাফিক আইন মেনে চলুন এবং রাস্তার শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহযোগিতা করুন। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কোন সদস্য যদি অনিয়মে জড়িত হয়, তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করব। তবে তারা যখন তাদের দায়িত্ব পালন করে তখন প্রতিনিয়ত যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে আপনাদের তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দরকার। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই পুলিশের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব না। আর আইনশৃঙ্খলা যদি ঠিক না থাকে, তাহলে কোন উন্নয়ন টেকসই হবে না।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ভিত্তিতে এক নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। এ নতুন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলাসহ পুলিশি কার্যক্রমে পূর্ণমাত্রায় গতিশীলতা আনতে এই সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়েছে।

পল্লবী থানার নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব কামাল হোসাইন খান বলেন, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। অপরাধীকে যথাযথভাবে আইনের আওতায় এনে দেশকে অপরাধমুক্ত করতে হবে। পল্লবী থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অপরাধ নির্মুলে সম্প্রতি গঠিত নাগরিক কমিটিকে আরো সক্রিয় করতে হবে।

সভায় উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ) অতিরিক্ত দায়িত্বে, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগ) মো: রফিকুল ইসলামসহ মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতারা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

পরে সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য মোনাজাত করা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও শাহ আলী থানা এলাকার নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
স্কুলে ভর্তির জন্য তিন লাখ ৬ হাজার শিক্ষার্থী নির্বাচিত গণমাধ্যম সংস্কারে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী ইইউ মহাকাশ অনুসন্ধান শিক্ষায় সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র মুগদায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত পাঁচ বছর পর সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনায় বসছে চীন-ভারত এবছরও গুচ্ছে থাকছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেলে একক যাত্রায় বিকল্প হিসেবে কিউআর কোডের ব্যবস্থা পর্নো তারকাকে ঘুসের মামলায় অব্যাহতি পেলেন না ট্রাম্প বঙ্গভবনে হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেলেন মির্জা আব্বাস দুবাইয়ে খুন : ৪৪ দিন পর ফিরল ব্যবসায়ীর লাশ রামগড় সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশকালে আটক ১২ বাংলাদেশী

সকল