১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বরখাস্ত সিপাহী শাহীন বাহিনী সম্পর্কে অপপ্রচার করছেন : বিজিবি

-

নৈতিক স্খলনের কারণে বরখাস্ত হওয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহী শাহীন বাহিনী সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে অভিযোগ দিয়েছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিজিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমনটিই উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজিবি বলছে, পিলখানায় আয়নাঘরের কোনো অস্তিত্ব নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন অভিযোগ এনে দেশপ্রেমিক বিজিবিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।

ফেসবুক পোস্টে বিজিবি লিখেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তাদের শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব এবং নিষ্ঠার সাথে সর্বদা দেশের সুরক্ষা করে চলেছে। কিন্তু সম্প্রতি, বরখাস্তকৃত সিপাহী শাহীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিজিবির বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা একান্তভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। বরখাস্তকৃত সিপাহী শাহীন কর্তৃক বিজিবির শৃঙ্খলা ও মর্যাদার সম্পূর্ণ পরিপন্থী গুরুতর অপরাধের প্রমাণ রয়েছে।

তিনি একজন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ও স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই ২০২২ সালের ৩০ জুন, জনৈকা সোনিয়া আক্তার নামক এক নারীকে বিবাহ করেন। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উম্মে তাসনিম ও খাদিজা নামে আরো দুজন নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেন, যা শাস্তিযোগ্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড। তিনি সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন যে তাকে ধর্ম পালনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল, যা সত্য নয়। এছাড়াও, বরখাস্তকৃত সিপাহী শাহীন অনুমতি ব্যতীত পেশাগত পরিচয় গোপন করে কৃষক সেজে জাতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান।

অপর একটি গুরুতর বিষয় হলো, তিনি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সমর্থিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শ্বারকীয়ার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন, যা দেশ ও বাহিনীর নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এখানে উল্লেখ্য, তার বড় ভাই আবু হুরায়রা এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাঙ্গামাটি জেলে আটক ছিলেন বলে জানা যায়।

গুম হওয়ার বিষয়ে সিপাহী শাহীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত। বিভাগীয় তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন সম্পূর্ণ সময় তিনি রামগড় বিজিবি ব্যাটালিয়নের কোয়ার্টার গার্ডে অবস্থান করেছিলেন এবং ব্যাটালিয়নের সকল সদস্যদের চক্ষুর সামনেই ছিলেন। বাহিনীর সদস্য হিসেবে তিনি নিয়মিত বেতনও গ্রহণ করেছেন। সেখানে তিনি প্রায়শই পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যাটালিয়ন ক্যান্টিনের মোবাইলে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। পিলখানায় অবাস্তব আয়নাঘরের অভিযোগ এনে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশপ্রেমিক বিজিবিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। বিচার চলাকালীন সময়ে তাকে কখনোই বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় আনা হয়নি।’

বিজিবিতে সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে যথাযথ বিজিবি আইন ও তদন্তের মাধ্যমে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। সিপাহী শাহিনের বিরুদ্ধেও একই প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন হয়েছে। যথাযথ তদন্ত কার্যক্রম ও বর্ডার গার্ড আদালতের মাধ্যমে তার বিচারকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। বিজিবির বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আইনগত। সীমান্তে টানটান উত্তেজনা চলাকালীন এই ক্রান্তিকালে কিছু অদৃশ্য মহল বিজিবির মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, যা বিজিবির ভাবমূর্তি ও শক্তিকে খর্ব করার হীন অপচেষ্টা মাত্র।

বিজিবি বাংলাদেশের সীমান্ত ও আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় আপসহীন। আমাদের বাহিনী অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেকোনো অপরাধী বা দুর্নীতিবাজ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিজিবি নিজেদের প্রতিষ্ঠিত নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।”


আরো সংবাদ



premium cement
চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক আমাদের দু’টি বিজয় দিবস বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা ছিনতাই রোধে রাজধানীতে শেষ রাতে পুলিশি টহল বাড়ানোর নির্দেশ পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাথে বিএনপি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সকল