০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ডিসি নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তে ৩ উপদেষ্টা

-

জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোখলেস উর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য তিনজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে নেয়া কার্যক্রম নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে জনপ্রশাসন সচিব তদন্ত করেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা ডিসি নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ সরকার তদন্ত করবে কি না— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এটার তদন্ত করব, সরকার (তদন্ত) করবে। কিন্তু এখানে দুটি জিনিস মিডিয়াকে মাথায় নিতে হবে। যে ক্লিপটা সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল প্রচারিত হয়ে গেল, সেটা কতখানি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রডিউসড, সেটা কতখানি রিয়েল, কতখানি ফেক; আমাদের মতো সাধারণ মানুষ তা বলতে পারে না।’

তিনি জানান, ‘ইমিডিয়েটলি যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে এটার টেকনিক্যাল ইন্টিগ্রিটিটা কী সেটা জানার জন্য কেবিনেটে (উপদেষ্টা পরিষদে) কথা হয়েছে। সেটা ইনভেস্টিগেট করে ইমিডিয়েটলি দেখতে হবে। আমরা অবশ্যই তদন্ত করব।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাংগীর আলম চৌধুরীকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘এই তিনজনের কথা বলা হয়েছে, এর মানে এই নয় যে অন্যরা এতে যুক্ত হতে পারবেন না। মূলকথা একটি কমিটি করে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।’

এর আগে সকালে সচিবালয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি ভুয়া বলে দাবি করেন অভিযুক্ত সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। বলেন, ‘ইটস এ ফেক নিউজ।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিনিয়র সচিব মো: মোখলেস উর রহমানের সাথে এক যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে ডিসি নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনের একপর্যায়ে নিজেকে নির্লোভ দাবি করেন সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। টাকা-পয়সার প্রতি কোনো লোভ নেই জানিয়ে ডিসি নিয়োগে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি। তাদের এ সংক্রান্ত কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট নিয়ে প্রশাসনের ভেতরে তোলপাড় চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement