০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

থার্টিফার্স্ট নাইট

-

সময়ের পরিক্রমায় দিন যায় রাত আসে, রাত যায় দিন আসে। কখনো শীতের বিদায়, গরমের আগমন। আবার শীতের আগমন, গরমের বিদায়। এভাবেই চলতে থাকে। এখন তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের বিদায়, নতুন বছরের আগমন। যাকে ইংরেজিতে ‘হ্যাপি নিউইয়ার’ বলা হয়। আর এই নতুন বছরকে উদযাপন করার জন্য আমাদের দেশসহ অন্যান্য দেশে ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ পালন করা হয়। এ দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে গোলা-বারুদ, পটকা ও আতশবাজি ফাটিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে অনেকেই। রাত ১২টায় শহরের অলিতে গলিতে শুধু এই আওয়াজই শোনা যায়। এ ছাড়া এই নতুন বছরকে সামনে রেখে বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির আয়োজনও করা হয়।
এই হলো বর্তমান প্রজন্মের চলতি বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে অভিবাদন জানানোর পদ্ধতি। কিন্তু আজ থেকে কিছুকাল অতীতের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়। ওই সময়েও বিগত বছর ও নতুন বছরের আগমন ঘটত। ওই সময়েও নতুন বছর ও বিগত বছরের বিদায় ঘটত। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতো এত বাড়াবাড়ি, হৈহুল্লোড়, গান-বাজনা ও আতশবাজির মাধ্যমে চলতি বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে অভিনন্দন জানানো হতো না। এমন কোনো রীতিনীতি ছিল কি না! তাও জানা নেই। তখন রাতের আঁধারে আল্লাহর দরবারে বিগত বছরে যে ভুল-ভ্রান্তি সংঘটিত হয়েছে তার জন্য কান্নাকাটি ও রোনাজারি করার মাধ্যমে অতিবাহিত করত। আর নতুন বছরে যেন বিগত বছরের সেই গুনাহগুলো থেকে বিরত থাকতে পারে সেই তাওফিকের দোয়া করত।
আর বিগত এক বছর আমাদের দেশের সচেতন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন ‘হ্যাপি নিউইয়ার/থার্টিফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষে যেকোনো প্রকার হৈহুল্লোড়, আতশবাজি ও অনুষ্ঠানাদি করা নিষিদ্ধ। হ্যাঁ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ/সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাতে আমরা তাদের ধন্যবাদও জানিয়েছিলাম। আমরা চাই এ বছরও প্রশাসন থেকে সেই উদ্যোগটি গ্রহণ করুক। সেই একই অবস্থানে থাকুক। এ কথা তো স্পষ্ট, বর্তমান বর্ষবরণ তথা থার্টিফার্স্ট নাইট নামে সমাজের মধ্যে যেই অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতার উন্মুক্ত প্রদর্শন চলে; তা একজন বিবেকসম্পন্ন সভ্য রুচিশীল মানুষের জন্য পালন করা কখনোই শোভা পায় না। তা ছাড়া এটি তো একটি বিজাতীয় উৎসব-অপসংস্কৃতি। এখানে অংশগ্রহণ করা একজন মুসলমানের জন্য কখনোই ন্যায়সঙ্গত নয়।
বছরের সূচনালগ্নে একজন মানুষের অনুভূতি হওয়া দরকার- বিগত বছরের যে দিনগুলো অতিবাহিত হয়ে গেল, তা জীবনেরই মূল্যবান একটি অংশ। একটি বছরের সমাপ্তি হয়ে গেল মানে জীবন থেকে একটি বছর কমে গেল। আর জীবনের সময় সঙ্কীর্ণ হয়ে এলো। তাই মনে রাখা উচিত- এটি কখনোই আনন্দের সংবাদ নয়; বরং চিন্তার ব্যাপার। আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠার সময় নয়; বরং হিসাব-নিকাশের সময়। হারানো সময়ের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার সময়।
সুতরাং থার্টিফার্স্ট নাইট সংস্কৃতির আড়ালের অপসংস্কৃতি থেকে আমরা নিজেরা সতর্ক হই, সচেতন হই ও অন্যকেও সচেতন করি। আর চলতি বছরের বিদায়, নতুন বছরের আগমনকে স্বাগত জানাতে ও উদযাপন করতে কোনো প্রকার অনর্থক কাজে লিপ্ত না হই; বরং আমরা জীবনের মূল্যবান এই সময়কে সুন্দর আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগাব। জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করব- এটিই হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার।


আরো সংবাদ



premium cement
জাপানে ভারী বৃষ্টির কারণে ২ লাখ মানুষকে সরে যাওয়ার আহ্বান সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান ৪৭তম বিসিএসের কোটার সংখ্যা নিয়ে যা জানা যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা নারী ফুটবলারদের সমস্যার কথা শুনেছেন : আসিফ মাহমুদ পূর্ব লেবাননে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫২ শামীম ওসমানের ‘সহচর’ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি লিটন গ্রেফতার স্টেইন নাকি হ্যারিস : মার্কিন নির্বাচনে মুসলিমরা কাকে ভোট দেবে কু‌ড়িগ্রা‌মে আ’লীগ নেতা আউয়াল‌ গ্রেফতার গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে নিউ টাউন সোসাইটির মতবিনিময়

সকল