বৈচিত্র্যময় জীবনের গতি
- নাইম হোসেন তামিম
- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
শরৎচন্দ্রের মতো পল্লীগাঁয়ের পাকা আম-কাঁঠালের বাগান আর ঝোপের আনারসের সাথে বেশ ভালো সখ্য আছে আমার। প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে এগুলোর সদ্ব্যবহার করে আসি। এ নিয়ে বাবার কাছে নালিশ বেশ ভালোই জমা আছে। এসবের শুনানি বোধ করি এখনো বাকি
গ্রামীণ সৌন্দর্য সবাকেই মুগ্ধ করে। গ্রাম বাংলার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আর সেই রূপ যদি হয় চিরপরিচিত জানালার সামনে বসে সূর্যকে গাছের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা, শীতের সকালে চাদর মুড়ি দিয়ে অথবা বর্ষায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় কিংবা বসন্তে কোকিলের মিষ্টি গান শুনতে শুনতে একটি নতুন দিনের সূচনা- তাহলে তা হয় পরম আনন্দের। সবার দিন হয়তো আমার মতো শুরু হয় না।
বাবার দিন শুরু হয় অফিসের তাড়াহুড়ো দিয়ে। মায়ের আবার একরাশ কাজ মাথায় নিয়ে। পাশের ঘর থেকে লাঙল নিয়ে বের হওয়ার জন্য রহিম চাচার হাঁকডাক শুনতে পাওয়া যায়। এসব তুচ্ছ ব্যস্ততার মধ্যেও আমি দিনটিকে আমার মতো করে উপভোগ করি। নাশতা শেষ করে ব্যাট-বল হাতে বের হয়ে যাই। ঘরে ফিরি সূর্য মাথার উপর চড়াও হলে। জয়ের আনন্দ বা পরাজয়ের বেদনা নিয়ে কিংবা বিরোধী দলের সাথে মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উৎপাত করে।
শরৎচন্দ্রের মতো পল্লীগাঁয়ের পাকা আম-কাঁঠালের বাগান আর ঝোপের আনারসের সাথে বেশ ভালো সখ্য আছে আমার। প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে এগুলোর সদ্ব্যবহার করে আসি। এ নিয়ে বাবার কাছে নালিশ বেশ ভালোই জমা আছে। এসবের শুনানি বোধ করি এখনো বাকি।
বিকেলবেলা নদীর তীরে মাঝির বেঁধে রাখা নৌকায় বসে পা ভেজানোর অনুভূতি এক অন্যরকম আনন্দ উপহার দেয়। আবার ঘরে ফিরে মায়ের উত্তম-মধ্যম বা বাবার ভয়ে একগাদা বই নিয়ে বসার অনুভূতিও কম তীব্র নয়। রাতটা অবশ্য বই-খাতা নিয়েই কাটে। তবে এগুলোকে উৎপাত মনে করে গায়ে মাখি না। আবার ভোর হবে, নতুন সূর্য উঠবে, পাখিরা নতুন কোনো গান গাইবে, আবার শুরু হবে আনন্দময় নতুন একটি দিনের।
আজ সেসব শুধুই অতীত। ৪৫০ কোটি বছরের পৃথিবীতে অতীতেও সবাই কিছু দিনের জন্য এসেছিল আর ভবিষ্যতেও আসবে। নতুন কোনো ইচ্ছা নিয়ে, নতুন কোনো লক্ষ্য স্থির করে, আবার কিছু দিন পরে বিদায় নেবে কিছু স্মৃতি তৈরি করে আর পাহাড় সমান দায়িত্ব পালন করে। আমি তো তাদেরই অনুসারী। গল্পের প্রথমভাগ সমাপ্ত করেছি মাত্র।
গল্পের তুলিতে আঁকা জীবনের প্রথমার্ধের পাতাগুলো ঢাবির বটতলায় যত্ন করে রেখে দিলাম। যার ছায়ায় বন্ধুদের নিয়ে চায়ের আড্ডায় বসা অক্লান্ত মেধাবীরা বা ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনে প্রভাবিত দুঃসাহসী প্রেমিকরা কিছুই জানবে না। শুধু বটগাছটার ডালে বসে থাকা হলদে রাঙা পায়ের সবুজ হরিয়ালকে জানিয়ে দিয়ে চললাম গল্পের বাকি অংশ রচনা করতে। দায়িত্ব শেষ করে হয়তো ফিরব বাকি অংশ নিয়ে, হয়তো নতুন কোনো গল্পের শিরোনাম হয়ে। নয়তো ফিরব না...
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা