২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
জী ব নে র বাঁ কে বাঁ কে

সফলতার গল্প

-


আজ থেকে কয়েক বছর আগের কথা। আমাদের শিক্ষক ছিলেন মাওলানা আবু বকর। ওখানে থাকাকালীন একটি স্মৃতি আজকে বেশ মনে পড়ছে। আসলে প্রতিটি মানুষের জীবনে কখন কোন বিষয়টি তার ভালো লেগে যায়, মনের মাঝে দাগ কেটে যায়, তা বলা ভার!
তখনকার সময়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে আমার প্রতি এক প্রস্তাব এসেছিল। প্রস্তাবটি ছিল, আমাকে সবাই মিলে বিদেশ পাঠাবে। আমি তো আল্লাহর মেহেরবানিতে ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখার প্রতি একটু আগ্রহী ছিলাম। তার মধ্যে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এমন প্রস্তাব!
আমি নিজেকে মানাতে পারছিলাম না। যা হোক, আমি তাদের সেই প্রস্তাব নিয়ে সরাসরি আমার শিক্ষক মাওলানা আবু বকর সাহেব-এর কাছে চলে যাই।

তিনি আমাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নসিহত করলেন। যা আমি অকপটে মেনে নিয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ, সেই সময়ের উপদেশের উপকারিতা আজকের সময়ে খুব ভালোভাবেই দেখতে পাচ্ছি। নসিহত ছিল, ‘দেখো বাবা, আজকে তুমি বিদেশ গিয়ে কয়েক বছর কাটিয়ে আসবে। দীর্ঘদিন বিদেশ করে দেশে ফিরে আসবে। এসে নিজের সাথী-সঙ্গীদের দেখতে পাবে, কেউ শায়খুল হাদিস, কেউ মোহতামিম, কেউ বড় পীর সাহেব! তখন কী তাদের সেই সফলতা দেখে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারবে? মনকে মানাতে পারবে? যদি পারো, তবে বিদেশ যাবার সিদ্ধান্ত নাও, অন্যথায় বিদেশ যাবার চিন্তা মাথা থেকে পূর্ণরূপে ঝেড়ে ফেলে দাও।
হুজুরের সে দিনের কথা আমার মনে অনেক বেশি দাগ কেটেছিল। আলহামদুলিল্লাহ, সামান্য ছোট্ট একটি নসিহত মেনেও নিয়েছিলাম! ফলে আল্লাহ তায়ালা আজকে তার বাস্তব প্রতিফলন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। কয়েক বছর যাবত আমার সহপাঠীদের সফলতার গল্প শুনতে পাচ্ছি চতুর্পাশ থেকে। কেউ বড় আলেম, কেউ আদর্শ শিক্ষক, কেউ সমাজ সেবক, কেউ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আসলে স্বপ্ন মানুষকে বড় করে তোলে। সেই সাথে মানতে হবে গুরুজনের সঠিক পরামর্শ। আলহামদুলিল্লাহ, এটা আমাদের জন্য অনেক বেশি গর্বের বিষয় যে, আমরা এসব ভালো মহান ব্যক্তির সাথে পড়ালেখা করার সুযোগ পেয়েছি। সব সহপাঠীর জন্য অনেক বেশি শুভকামনা।

 

 

 

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement