শরতের কাশফুল
বর্ষার কদমফুলের দিন শেষ হতে না হতেই শরতের কাশফুলের দেখা মেলে। কাশবাগানে বাতাস এলে কাশফুলেদের একসাথে মাথা দোলানো দেখে মানুষ কতই না মুগ্ধ হয়- মো: জোবাইদুল ইসলাম
- ২১ আগস্ট ২০২২, ০০:০৫
নদীর ধারে সারি সারি কাশফুল ফুটে আছে। বাতাস এলে ফুলগুলো একসাথে দোল খায়। সে দৃশ্য কতই না মনোরম! কাশফুলের লম্বাটে শরীরের মাথায় পেঁজা তুলোর মতো অংশটাকে কাশফুল বলে। কাশফুলের নাম শুনেনি কিংবা জীবনে একবার হলেও কাশফুল দেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কাশফুল শরৎকালের অন্যতম রূপ-সৌন্দর্য বর্ধনকারী একটি ফুল। নদীর ধার ঘেঁষে কাশফুলেরা বেড়ে ওঠে। নদীর ধার ছাড়াও বিভিন্ন জমিতে, মাঠেও কাশফুল দেখা যায়। আবার কোথাও কোথাও কাশফুল ফুটে বাগানের সৃষ্টি করে। কাশফুলের নামটি যেমন দারুণ তেমনি লিকলিকে শরীরের গাছটি দেখতেও খুব সুন্দর।
বর্ষার কদমফুলের দিন শেষ হতে না হতেই শরতের কাশফুলের দেখা মেলে। কাশবাগানে বাতাস এলে কাশফুলেদের একসাথে মাথা দোলানো দেখে মানুষ কতই না মুগ্ধ হয়! শরতের আকাশ থাকে সাদা মেঘে ভরা আর নদীর দু’ধার কাশফুলেতে ভরা। মেঘের পেঁজা তুলোর মতো কাশফুলের রঙও সাদা। কাশফুল ছিঁড়ে বাতাসে ছেড়ে দিলে পেঁজা তুলোগুলো উড়ে উড়ে যেন মেঘের তুলোর সাথে মিশে যাবে। কাশফুলের ঘ্রাণ নেই বটে কিন্তু আছে তার অপরূপ সৌন্দর্য। যে সৌন্দর্যের গুণে শরতের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে কাশফুল। মানুষ মনে করে শরৎকাল মানেই কাশফুলের দিন।
কাশফুল। এই একটি ফুল নিয়ে কতই না লেখালেখি করছে লেখকরা। ছড়া লিখছে, কবিতা লিখছে, লিখছে ছোটগল্প, তাকে নিয়ে প্রচ্ছদ রচনাও লিখছে অল্প। শরতের দিনে লেখকদের লেখার মূল বিষয়ই যেন হয়ে ওঠে কাশফুল। প্রকৃতিপ্রিয় মানুষরা ছুটে কাশবাগানে। তোলে অজস্র ছবি। কাশবাগান তখন লোকে লোকারণ্য থাকে। ছোট ছেলেমেয়েরা কাশফুল নিয়ে খেলা করে। এক কথায় বলা যায়, কাশফুল মানেই শরতের দিন আর শরতের দিন মানেই কাশফুল। শরতের শুভ্র মেঘের সাথী কাশফুল। সবাইকে শরতের কাশফুলময় শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখার ইতি টানছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা