২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সুন্দর হোক অন্তিমকাল

-

আমরা মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে নানা রকম কাজ করে থাকি। সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করে থাকি, সেটি হলো- প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা। যা আমাদের এই জীবনে অনেক বেশি আনন্দ ও সুন্দর মুহূর্ত এনে দেয়। আমরা সাধারণত পড়াশোনা ও কর্মব্যস্ততার সীমাবদ্ধতার কারণে প্রকৃতিও উপভোগ করার সময়টা পাই না। এর পরও আমাদের সময় সুযোগ বুঝে মাঝে মধ্যে সব রকম ব্যস্ততা ছেড়ে মনটাকে একটু প্রফুল্ল করার উদ্দেশ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম পড়ন্ত বিকেলের সান্নিধ্যে যাওয়া হয়। তাই এবারের ঈদের ছুটিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি, ছুটে গেছি প্রিয় জায়গায়, প্রিয় পড়ন্ত বিকেলটায়। যেই পড়ন্ত বিকেলে আকাশটা লাল-কমলায় রাঙিয়ে সুয্যিমামার পশ্চিমাকাশে অস্ত যাওয়া পৃথিবীর অন্যতম সেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এক অপরূপ দৃশ্য। যেখানে সূর্য দিগন্তে হেলে পড়ার পর একসময় হলুদ থেকে কমলা, কমলা থেকে টুকটুকে লাল হয়ে গিয়ে নানা রঙের বর্ণচ্ছটা ছড়িয়ে দিগন্তে হারিয়ে যায়। আর সূর্যাস্তের সময় আকাশটাতে বিচিত্র রঙের প্রদর্শনী চলে। কমলা-গোলাপি-বেগুনি রঙের সেই ছোঁয়ায় রাঙে মেঘেরা, রাঙে আকাশ, রাঙে তার চারপাশ। সেই রঙের আভা ছুঁয়ে যায় মানবহৃদয়কেও। অস্তমান সূর্যের অতুলনীয় ওই সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করার সাধ্য কোনো মানবমনের নেই। তাই তো প্রকৃতিপ্রেমী সব মানুষ বিস্ময়-বিমুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে অস্তমিত সূর্যের দিকে।
এ জন্যই তো সূর্যাস্ত দেখে প্রাণ জুড়াতে কেউ কেউ ছুটে সাগর সৈকতে, পাহাড়-পর্বতে, বিল-নদীর তীরে। আর সূর্যাস্তের সৌন্দর্যের গভীর ভালোলাগার আবেশে আবিষ্ট হয় মন, এক অদ্ভুত প্রশান্তি ভর করে হৃদয়মনে।
অতএব, পড়ন্ত বিকেলে দিগন্তপানে রঙের বর্ণচ্ছটা ছড়িয়ে সুয্যিমামার এমন সুন্দর অন্তিমকাল যেন আমাদের মধ্যেও উদয় করে নতুন কিছুর ভাবনা ও উপলব্ধির। জীবনে যোগ করে নতুন কিছু অর্জনের শিক্ষা। তাই সূর্যের মতো আমাদের জীবনের অন্তিমকালটাও যেন সুন্দর হয়, প্রস্ফুটিত হয়। আল্লøাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন। আমীন।


আরো সংবাদ



premium cement