সা ই কে ল
- মো: জোবাইদুল ইসলাম
- ০৫ জুন ২০২২, ০০:০০
সাইকেল চালানোর শখটা ছোটবেলায় কমবেশি সবার থাকে। আমারো তেমন শখ ছিল। অনেকে দেখতাম দোকান থেকে ভাড়া করে নিয়ে সাইকেল চালাত। ঘণ্টা হিসাবে টাকা দিতে হতো। আবার কেউ কেউ এক ঘণ্টার জন্য ভাড়া নিয়ে দুই-তিন ঘণ্টাও চালাত। সেই ভাড়া করা সাইকেলগুলো ছিল বেশ জীর্ণশীর্ণ। মানে দোকানদার অনেক পুরনো সাইকেল রাখত ভাড়া দেয়ার জন্য। হয়তো সামান্য দাম দিয়ে কারো থেকে কেনা সাইকেল। অথবা কেউ সাইকেলটা ঠিক করতে দিয়েছে কিন্তু আর নিয়ে যায়নি তেমন সাইকেল। এসব সাইকেল শুধু যে ভাড়া করে শখ পূরণের জন্য চালানো হতো তা নয়, বরং অনেকে সাইকেল চালানো শেখার জন্য এই সাইকেল ভাড়া নিত। কিন্তু এই ভাড়া সাইকেল চালিয়ে সাইকেল চালানো শিখতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকত। কারণ, ভাড়া করা এসব সাইকেলের কোনোটাতে ব্রেক, বেল কিছুই থাকত না। এরকম সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়া অনেককে দেখেছি ছোটবেলায়। আমি কোনো দিন ওসব ভাড়া সাইকেল চালাতে যাইনি। এরপর যখন ক্লাস নাইনে উঠি তখন আম্মু একটি সাইকেল কিনে দেন। সাইকেল কেনার আগেই একটু একটু করে সাইকেল চালানো শেখা শুরু করি। তখন সাইকেল চালাতে গিয়ে কতবার যে পড়ে গেছি তার হিসাব নেই। তবুও সাইকেল চালাতে তখন খুুব মজা লাগত। এরপর সাইকেল কেনার পর তো সারা দিন সাইকেল নিয়েই ঘুরতাম। সাইকেল কেনার আগে মাদরাসায় যেতাম হেঁটে হেঁটে। সাইকেল কেনার পর সেই হেঁটে যাওয়ার কষ্টটা লাগব হলো। কিন্তু ঝড় বৃষ্টির দিনে সাইকেল চালিয়ে মাদরাসায় যাওয়াটা রীতিমতো কষ্টসাধ্য হয়ে যেত। এমনকি একদিন বৃষ্টির দিনে সাইকেল চালিয়ে মাদরাসায় যাওয়ার সময় আমি একটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হই। এক হাতে সাইকেলের ব্রেক ধরে আরেক হাতে ছাতা ধরে সাইকেল চালিয়ে মাদরাসায় যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেলের সাথে অ্যাক্সিডেন্ট করি। এতে আমার হাতের আঙুল, পায়ের আঙুল, হাঁটুর বিভিন্ন জায়গায় কেটে যায় এবং অনেক জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হই। সে দিন আর মাদরাসায় যাওয়া হয়নি। মাদরাসায় যাওয়ার বদলে বৃষ্টির দিনে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। এমন আরো অনেক ঘটনা মনে পড়ে সাইকেলের। সেগুলো অন্য দিন স্মৃতিচারণ করব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা