০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

একজন নূর হোসেন

-

স্বৈরাচার নিপাত যাক ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ এই দু’টি বাক্য মনে হলে চোখে সামনে ভেসে ওঠে নূর হোসেনের সেই ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের সেই ঐতিহাসিক ছবির কথা। নূর হোসেন দেশের বা সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ছিল না। তেমন শিক্ষিতও ছিলেন না। সম্ভবত অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেও জড়িত ছিল না। তিনি সরকারি কোনো চাকরিজীবী ছিলেন না। নূর হোসেন পেশায় একজন মোটর শ্রমিক ছিলেন। তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠেন। স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে মিছিল করতে গিয়ে মাত্র ২৪ বছর বয়সে নূর হোসেন প্রাণ হারান।
নূর হোসেনের মতো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। নূর হোসেন তাই ইতিহাসের একটি অংশ। ওই সময় নূর হোসেনের সাথে আরো অনেকের আত্মত্যাগ রয়েছে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাধারণ মানুষ সীমাহীন আত্মত্যাগ করেছে। তৎকালীন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এবং তা স্মরণে রাখার মতো। সাধারণ মানুষ গণহারে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণেই এরশাদ সরে দাড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু সেই অর্জিত ধরাবাহিকতা আমরা আর রক্ষা করতে পারিনি। প্রতিটা যৌক্তিক আন্দোলনকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে কিছু কৌশল দরকার হয়। তেমন কৌশল এখন দেখা যায় না।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের তুলে ধরতে হবে। তাদেরও দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে দেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিতে হতে পারে। তবে দুঃখের বিষয় আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে নির্দিষ্ট কিছু ইতিহাস আমরা প্রচার করছি। যে কারণে বাংলাদেশের অনেক ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্ম একবারেই অজ্ঞ। দেশের স্বার্থে প্রয়োজন হলে আমাদের নূর হোসেনের মতো নির্ভয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে নিজেদের স্বার্থে। সংবিধান আর রাষ্ট্রকেও জনগণের স্বার্থে কাজে আসতে হবে। নূর হোসেন নিয়ে আমাদের কোনো চর্চা নেই। শুধু নির্দিষ্ট একটা দিনেই জাতির এই সাহসী সন্তানকে আমরা মনে করি। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ করব স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা-পরবর্তী যত গণতান্ত্রিক ও সংবিধান রক্ষার আন্দোলন আছে তা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেন আমাদের নবীন প্রজন্ম এসব ইতিহাস পড়ে দেশের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা পায়। নূর হোসেন হোক আমাদের দেশরক্ষা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রেরণা। হ
ধৎড়ঁভরঁনফ@মসধরষ.পড়স


আরো সংবাদ



premium cement
সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য : যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব পশুর নদে গ্যাস ও কয়লাবাহী জাহাজের সংঘর্ষ, নিখোঁজ ১ চুয়াডাঙ্গা প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকে কোপালেন যুবলীগ কর্মী ‘আওয়ামী লীগের আমলে প্রতিবছর ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে’ গাজার জাবালিয়ায় হামাসের হামলায় ১৫ ইসরাইলি সেনা হতাহত ইসরাইলের ৫ এলাকায় হিজবুল্লাহর একযোগে হামলা শেষ মুহূর্তে জনমত সমীক্ষায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেললেন কমলা! সোনার ছেলে বড় হয়েও যেন সোনার ছেলেই থাকে : সেলিম উদ্দিন সাফজয়ী ক্রিকেটারদের যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ কুয়াকাটায় নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা

সকল