নারীর ক্ষমতায়নে সরকার
- ফাতিমা-তুজ জোহরা
- ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০, আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:১৪
ক্ষমতায়ন হলো একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনমান অর্জনের সোপান। নারীর ক্ষমতায়ন নারীর ভেতরে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় করে, যা দিয়ে সে সমস্যার সমাধান করতে শেখে।
নারীর ক্ষমতায়নকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়Ñ ১. অর্থনৈতিক, ২. সামাজিক এবং ৩. রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। বর্তমান সরকার দেশের নারীসমাজকে ক্ষমতায়িত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষায় দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের ভর্তির হার এখন ৫১ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে ৫৩ শতাংশ, যেখানে ছেলেদের ক্ষেত্রে ৪৭ শতাংশ। কয়েক বছর পেছনে ফিরলে দেখা যাবে, তখন ছেলেদের হার ছিল ৬৫ এবং মেয়েদের হার ছিল ৩৫ শতাংশ।
ব্যবসায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকার ২০১১ সালে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি পাস করেছে। পারিবারিক সহিংসতা (দমন এবং নিরাপত্তা) আইন ২০১০ পাস করা হয়। পাশাপাশি সরকার মানবপাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছে। নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডো) বাস্তবায়ন করেছে সরকার। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা আরো পাঁচটি বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে চলমান দশটি কর্মসূচির মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন একটি। নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা নির্ধারণে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ সামর্র্থ্য উন্নীতকরণ, অর্থনৈতিক প্রাপ্তি বৃদ্ধিকরণ, মতপ্রকাশ ও মতপ্রকাশের মাধ্যম সম্প্রসারণ এবং উন্নয়নে পরিবেশ সৃষ্টিকরণ।
গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। ৯ অক্টোবর ২০১৭ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএ) বার্ষিক সম্মেলনে প্রদত্ত তথ্যানুসারে, ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের শ্রমশক্তির ৭ শতাংশ ছিল নারী; বর্তমানে তা বেড়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে প্রথমে চারটি মন্ত্রণালয়ের জন্য জেন্ডার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল। ওই বছর নারী উন্নয়নে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নারী উন্নয়নের বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ ছাড়াও নারীর ক্ষমতায়নসহ তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ৭৯৫ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সাত বছরে নারী উন্নয়নে বরাদ্দ পাঁচগুণেরও বেশি বেড়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম প্রকাশিত গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ প্রতিবেদন ২০১৩ অনুযায়ী, ১৩৬টি দেশের মধ্যে লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম, যা ১০ বছরে এগিয়েছে ১১ ধাপ। হ
লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা