০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

রোগ নির্ণয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার

-

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। এর দৃষ্টান্ত হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে সাড়ে চার হাজার লোকের জন্য মাত্র একজন করে চিকিৎসক রয়েছেন। জনসংখ্যা অনুপাতে চিকিৎসাদানকারীর যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সংখ্যা রয়েছেÑ তাতে আরো ৬০ হাজার ডাক্তার ও তিন লাখ নার্স প্রয়োজন। ফলে ২০০৯ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে চিকিৎসাসেবা দেয়া শুরু হয়। চিকিৎসকদের হাতে লেখা প্রেসক্রিপশন পড়তে হেলথ অ্যাপ ও শিশুদের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু হয় ‘বেবিটিকা’ নামের অ্যাপ। এতে টিকার তারিখ নির্ধারণ, সেবা গ্রহণ ও সেবা প্রদানকারীদের আগে থেকে তথ্য জানানো যাচ্ছে। মানুষের গড় আয়ু আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ডিজিটাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে এমন সাফল্য অর্জনের দিকে এগোচ্ছে।
বাংলাদেশে চার হাজার পাঁচ শতাধিক ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব ডিজিটাল সেন্টার থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা জনগণের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইন্টারনেট সাড়ে ৯ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ফলে চিকিৎসকরাও নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত বিশ্বের মেডিক্যাল সেন্টারগুলোর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীরাও নিজেরা কোথায় গেলে কী সেবা পাবেন; তা জানতে পারছেন। রোগীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন। মোবাইল ফোন থেকে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার কল সেন্টারের ১৬২৬৩ নম্বরে কল করে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জেনে নেয়া যায়।
এক্সরে, ইসিজি ও আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়। এতে করে একজন রোগীর জটিল রোগ নির্ণয় করা সহজ হচ্ছে। এক কথায়Ñ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মানুষের সেবা গ্রহণে অর্থ ও সময় কম লাগছে। হ
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement