শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই
- আবু জাফর সিদ্দিকী
- ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
কনকনে শীত, কুয়াশায় অন্ধকারাচ্ছন্ন। কেউ অট্টালিকায় আরামে ঘুমে বিভোর, কেউ রাস্তার পাশে আবার কেউ বা রেলস্টেশনে বা বাসস্ট্যান্ডে কোনো রকমে একটা গরম কাপড়ে রাত যাপন করছেন। কেউ বা আবার গরম পোশাক না পেয়ে সারা রাত আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এটিই কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তব চিত্র। এ চিত্র বদলাতে পারি আমরাই। আসুন, আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই। এটি আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ববোধই পারে অসহায়ের সহায় হতে।
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রকোপে নিদারুণ কষ্ট ও দুঃসহ অবস্থায় পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লাখ লাখ দুস্থ, নিঃস্ব, ছিন্নমূল, গরিব, দুঃখী, বস্ত্রহীন, শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ। প্রচণ্ড শীতে যানবাহন চলাচল, পণ্যদ্রব্য ও পত্রিকা সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ, তরিতরকারি আবাদ। অনেকেই ভুগছেন সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের পীড়া, আমাশয়, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট বেড়েছে বহুগুণ। শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন যথাযথ চিকিৎসা এবং ওষুধ। এর জন্য চাই সরকারি-বেসরকারিভাবে কার্যকর উদ্যোগ। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ঘোষণা এসেছে, ‘পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফেরানোর মধ্যে কোনো পুণ্য নেই; কিন্তু পুণ্য আছে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহ এবং নবীদের প্রতি ইমান আনলে এবং আল্লাহর প্রেমে আত্মীয়স্বজন, এতিম, মিসকিন, ভ্রমণকারী, সাহায্য প্রার্থীদের এবং দাসমুক্তির জন্য অর্থ প্রদান করলে; নামাজ প্রতিষ্ঠা করলে ও জাকাত প্রদান করলে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করলে, অর্থ সঙ্কটে, দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সঙ্কটে ধৈর্য ধারণ করলে। এরাই তারা; যারা সত্যপরায়ণ এবং তারাই মুত্তাকি’।
(সূরা বাকারা : ১৭৭)।
হাড় কাঁপানো শীতে যে বিপুল জনগোষ্ঠী বর্ণনাতীত দুঃখ-কষ্টে দিন যাপন করছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো ধর্মপ্রাণ মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্মীয় এবং মানবিক উভয় দিক মানুষ এবং মানবতার কথা বলে। যেকোনো বিপদে মানুষের পাশে থাকার কথা বলে। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব মানবতার পাশে দাঁড়ালে কোনো মানুষ পথে-ঘাটে আর্তনাদ করবেন না। পৃথিবী হবে সুখময়, শান্তিময়। হ
লেখক : সংবাদকর্মী
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা