০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

তারা সবাই ‘মাননীয়’

-

যাকে মান্য করা হয় তিনিই মাননীয়। আমাদের দেশে এখন ‘মাননীয়’র ছড়াছড়ি। এই মাননীয়দের উত্তাপে সাধারণের ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা। জীবন খানিকটা ওষ্ঠাগত। এমন পরিস্থিতির জন্য রাজনীতির নড়বড়ে অবস্থাকেই দায়ী করছেন অনেকে। দেশের রাজনীতি যেন আগের সেই নৈতিক অবস্থানে নেই। তাই মাননীয়দের এমন দাপট আর কি। এর পেছনের কারণ খুঁজলে দেখা যায়, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সূচকের অবনতিই তাদের দাপট বাড়ানোর প্রধান কারণ। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী মতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন, সভা-সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। পুলিশের অনুমতি ছাড়া বিরোধীদল সভা-সমাবেশ করতে পারে না। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিরোধী মতের রাজনৈতিক অধিকার সঙ্কুুচিত হয়ে পড়েছে। কারণ, পুলিশের এ অনুমতি দেয়া না দেয়া সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন মাত্র।
এদিকে সংসদে বিরোধী দলের আচরণে পরিবর্তন লক্ষণীয়। মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেই তার দলকে একসময় গৃহপালিত বিরোধীদল বলে উল্লেখ করেছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ বলেছিলেন ‘সংসদে বিরোধী দলে থেকে মন্ত্রিত্ব নেয়াটা সাংঘর্ষিক ও বেআইনি’। আসলে রাজনীতিকেরা রাজনীতিকে গুরুত্বহীন বানিয়ে ফেলেছেন। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে। রাজনীতির সংস্কৃতিতে এখন যুক্ত হয়েছে অভিনব অনুষঙ্গ-গৃহপালিত বিরোধী দল। বিষয়টি বোঝার জন্য সংবিধান বিশেষজ্ঞ কিংবা রাষ্ট্রচিন্তক হওয়ার প্রয়োজন হয় না। সাধারণের পক্ষেই তা বোঝা সম্ভব।
রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রেই যেন একটি জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নেয়ার মনোভাব দৃশ্যমান। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কোনো বালাই নেই। যা একসময় বুমেরাং হতে পারে। দুর্নীতি আজ কতটা ডালপালা মেলেছে তা মানুষের ধারণাতীত। এটি সাধারণের বুদ্ধিরও অগম্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজপথের আন্দোলন কিংবা সভাসমাবেশ সরকারকে ততটা বিপাকে ফেলতে পারেনি যেটা করেছে, পর্দা ও বালিশকাণ্ড। আইনের রক্ষকদের অনেকেই আইনের কোনো তোয়াক্কাই করছেন না। নইলে একজন ওসি কী করে থানার অভ্যন্তরে মামলা নথিভুক্ত না করে; ধর্ষকের সাথে একজন ধর্র্ষিত গৃহবধূর বিয়ে দিতে পারেন, আগের স্বামীকে তালাক ছাড়াই।
একজন ডিসি সারা দেশের ডিসিদের অসম্মান করেছেন। ডিআইজি পদে থেকে নারীর প্রতি অসম্মান ও ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে কিংবা বস্তা বস্তা অবৈধ টাকা নিয়ে ধরা পড়া রাষ্ট্রের মুখে কতটা কালিমা লেপন করেছেন তা না বলাই ভালো।
তাই যিনি যে পদে আছেন, তিনি যদি ওই পদের সম্মান ও মর্যাদা বোঝেন তাহলে দেশের মঙ্গল। দেশ-দশের মঙ্গল দূরের কথা, নিজের ভালো চিন্তার হুঁশটুকুও তারা হারিয়ে ফেলছেন। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে কেন ঠিকাদারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিতে হবে। এসবই ক্ষমতার দম্ভে হয়ে থাকে। তারা ভাবেন তাদের সামনে কেউ নেই, অপ্রতিরোধ্য। যা খুশি করার অধিকার রয়েছে তাদের। তারা ভিআইপি। তারা যাত্রীবাহী ফেরিও দু’ঘণ্টা আটকে রাখতে পারেন। তারা ‘মাননীয়’ না হলে আর কে? হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
৩ পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমি থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম বইমেলায় ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি সময় পরিবর্তন হচ্ছে, থাকছে না শিশুপ্রহর রাখাইন স্টেট : ঘুমধুমে স্থলবন্দর করার চিন্তা করছে সরকার ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছে ছাত্ররা আর তাদের সাহস জুগিয়েছেন শিক্ষকরা মশিউর রহমানের নতুন বই ‘টেকসই সমৃদ্ধিতে আল-কুরআনের দর্শন’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এপ্রিলে ঢাকা সফর করতে পারেন : তৌহিদ আ’লীগের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য মাসিক ভাতা আগামী বছর থেকে : মুহাম্মদ আবদুল্লাহ শেখ হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক ছাত্রদের যৌক্তিক অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বনাম ইরানের অগ্রযাত্রা

সকল