পাছে লোকে কিছু বলে
- হাসান তাসনিম শাওন
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আমরা যখনই কোনো কাজ করতে যাই, প্রথমেই মনে একটা ভয় কাজ করে। ভয়ের কারণে অনেকে কাজটি শুরুই করতে পারেন না। কেউ আবার আরম্ভ করে শেষ করতে পারেন না। এই ভয় কী? এটি আর কিছুই নয় লোকে কী বলবে। লোকের কথা ভাবতে ভাবতে নিজের কথা ভুলে যাই। নিজের ইচ্ছা ভুলে যাই। নিজের স্বপ্ন ভুলে যাই। ভুলে যাই নিজের ক্ষমতা। ভাবতে থাকি লোকের কথা। লোকের ভবিষ্যৎ সমালোচনার কথা। এসব ভেবে ভেবে হারিয়ে ফেলি আত্মবিশ্বাস আর নিজস্ব সম্ভাবনা। অন্যের মতকে বেশি প্রাধান্য দিতে থাকি। ফলে তৈরি হয় কাজের প্রতি অনীহা। এর জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞান ভালোলাগা শিক্ষার্থী পড়েন প্রকৌশল। ছবি আঁকা ভালো জানলেও পড়তে হয় গণিত। এরকম বহু চিত্র আমাদের সমাজে দেখা যায়। কে কোন কাজে পারদর্শী তা না ভেবে লোকে কী বলবে সে কথা মাথায় নিয়ে ভুল পথের দিকে ছুটতে থাকি আমরা।
তাই তো পেশার সাথে পছন্দের কোনো মিল থাকে না। এক সময়ের ভালো গান গাওয়া শিক্ষার্থী হয়ে যান গণিতের শিক্ষক। গণিতে পারদর্শী শিক্ষার্থী ইংরেজি পড়ান। মানুষ তখনই তার সর্বোচ্চটা দিতে পারে যখন তার পছন্দ আর পেশাটা এক হয়। এতে কাজটি স্বচ্ছন্দে করতে পারা যায়, উপভোগ করা যায়। আর উপভোগ করে যে কাজ করা যায়, সেই কাজে সফলতা আসবে এটিই স্বাভাবিক। যে কাজ ভয়ে করা হয়, চাপের মুখে করা হয়; তা কখনো স্বতঃস্ফূর্ত হয় না, মানুষের হৃদয় ছুঁতে পারে না।
লোকে কি বলবেÑ ভয়টা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে শিক্ষার্থীদের ওপর। যে ছাত্র কলা অনুষদে পড়তে চান, অনেক সময় তাকে পড়তে হয় বিজ্ঞানে। বিজ্ঞানমনস্ক ছাত্রকে পড়তে হয় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে। এভাবেই স্বপগুলো ডানা মেলে উড়ার আগেই শূন্যে মিলিয়ে যায়। মরে যায় মেধার বিকাশ শক্তি।
পাছে লোকে কিছু বলার ভয় মন থেকে ঝেড়ে ফেলে নিজস্ব উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যের বলা কথার ভয় থেকে মুক্ত রাখতে হবে মনকে। নিজের কাজ নিজে করতে হবে আত্মবিশ্বাসের সাথে। কে কী বলল তা যদি কারো ভাবনায় থাকে, তাহলে সেই মানুষের স্বকীয়তা থাকে না। হ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা