বর্ষায় দৃষ্টিনন্দন চলনবিল
- আবু জাফর সিদ্দিকী
- ০৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী বা কর্মব্যস্ত মানুষদের একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন আনন্দভ্রমণ। সারা দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের মতোই একটি স্থান চলনবিল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন অর্থাৎ শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ অঞ্চলে আসেন হাজার হাজার মানুষ। তা ছাড়াও প্রতিদিনই ভিড় জমে এ বিলে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এমনকি রিকশায় চড়ে হাজারো মানুষকে আসতে দেখা যায় চলনবিল এলাকায়। শুক্রবার বিকেল হলেই বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তারা, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আসে আনন্দ উপভোগের জন্য। শ্যালো নৌকা, বৈঠা নৌকা, পাল তোলা নৌকায় ঘুরতে দেখা যায় ভ্রমণপিপাসুদের। তবে বর্ষাকালে চারদিকে পানি বাড়তে থাকায় বিলাঞ্চলের ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, স্কুল ও বাজার ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় চলনবিলের বাসিন্দাদের। তারা রাস্তায় ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। স্কুলপড়–য়া ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। বর্ষাকালে পানি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। ফলে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
চলনবিলে বেড়ানোর জন্য স্থানীয় নৌকা পাওয়া যায় ভাড়ায়। সারা দিনের জন্য ভালো মানের একটি নৌকার ভাড়া এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকা। এ সুযোগে দেখে নিতে পারেন চলনবিল জাদুঘরটিও। গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামে এ জাদুঘর। স্থানীয় শিক্ষক আব্দুল হামিদ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় নিজ বাড়িতে ১৯৭৮ সালে গড়ে তোলেন ব্যতিক্রমী এ সংগ্রহশালা। চলনবিলে প্রাপ্ত নানান নিদর্শন, মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম ছাড়াও এখানে আছে অনেক দুর্লভ সংগ্রহ। নাটোর থেকে বাসে গুরুদাসপুর উপজেলায় এসে সেখান থেকে নদী পার হয়ে রিকশায় আসা যাবে খুবজিপুর গ্রামের এ জাদুঘরে। শনিবার জাদুঘর বন্ধ থাকে।
যারা চলনবিলে বেড়াতে আসতে চান তাদের একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন, যারা সাঁতার জানেন না, তারা চলনবিলে ভ্রমণে গেলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সাথে নেবেন। নৌকায় ভ্রমণকালে হইচই, লাফালাফি করা বিপজ্জনক হতে পারে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। ঝড়ো বাতাস উঠলে চলনবিলের পানিতে বিশাল বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। হ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা