দৃষ্টিপাত : অতিথি শিক্ষক
- ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০, আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৪:১৭
শহরাঞ্চলের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাছাই করা শিক্ষকদের কিছু সময়ের জন্য ‘অতিথি শিক্ষক’ হিসেবে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানের একটি প্রস্তাব এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান এবং ভালো মানের শিক্ষকের ঘাটতির বিষয়টি অনস্বীকার্য। তবে প্রস্তাবটি বাস্তবসম্মত কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। আর এহেন পদক্ষেপ রোগের সাময়িক উপশম দিলেও সম্পূর্ণ বা স্থায়ী নিরাময় ঘটাবে না। বরং সুপরিকল্পিত কোনো কর্মসূচির আওতায় গ্রাম ও শহরাঞ্চলের বাছাই করা শিক্ষকদের অতিথি শিক্ষক বা পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্দিষ্ট বিরতিতে দু-এক দিনের জন্য দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো যেতে পারে। এতে করে পারস্পরিক বাস্তব অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের সুযোগ ঘটবে এবং তারা সমৃদ্ধ হবেন। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা ও শিক্ষকের মান বৃদ্ধিকল্পে সর্বাগ্রে প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের অবৈধ প্রভাবমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত এবং সম্পূর্ণরূপে মেধার ভিত্তিতে যোগ্যতম শিক্ষক নিয়োগ, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দান ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত শিক্ষাবিষয়ক সেমিনার বা কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য পরিচালনা পর্ষদ গঠনে সুষ্ঠু নীতিমালা অনুসরণ, অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে তদারকি ও জবাবদিহি ইত্যাদি প্রয়োজন। এ ছাড়া শহর ও পল্লী অঞ্চলে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষার উপকরণ, ভৌত অবকাঠামোগত ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য যত দূর সম্ভব কমিয়ে আনা আবশ্যক। সর্বোপরি, শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে সম্মানজনক বেতনভাতা, পদোন্নতির সুযোগ, পল্লী অঞ্চলে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিশেষ যতœশীল হওয়ার বিকল্প নেই।
শাহীদুল আযম, উত্তর টোলারবাগ
মিরপুর, ঢাকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা