২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

স্বস্তি ফিরেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে, কারখানায় উৎপাদন শুরু

স্বস্তি ফিরেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে, কারখানায় উৎপাদন শুরু - সংগৃহীত

টানা কয়েক দিনের শ্রমিক অসন্তোষের পর স্বস্তি ফিরেছে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায়। এই শিল্পাঞ্চলের ৪৫টি কারখানা বাদে সকল কারখানায় কাজে যোগদান করে উৎপাদন শুরু করেছে শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গতকালের (সোমবার) চেয়ে আজকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জিরাবো, জিরানী বাজার, গোহাইলবাড়ি, নিশ্চিন্তপুর, নরসিংহপুর, সরকার মার্কেট, জামগড়া, বাইপাইলসহ বিভিন্ন এলাকার কারখানায় শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এসব কারখানাগুলোতে উৎপাদন শুরু হবে বলে জানা গেছে।

বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাজিরা বোনাস ও টিফিন বিল বাড়িয়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার সব পোশাককারখানা আজ খোলার কথা ছিল। প্রায় সব কারখানা খুলে দেয়া হলেও ৪৫টির মতো কারখানায় শ্রমকিরা মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করছেন। আলোচনায় সিদ্ধান্তে পৌঁছালে সেসব কারখানাতেই উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিল্পপুলিশ।

শ্রমিকরা জানায়, শিল্পাঞ্চলের অনেক কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। কিছু কিছু কারখানা এখনো খুলে দেয়া হয়নি। গেটে এখনো বন্ধের নোটিশ টাঙানো রয়েছে। তবে এসব কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন না করে বাসায় ফিরে গেছেন। শ্রমিকরা মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। শ্রমিকরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নাই। বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছে। ফলে কারখানায় কাজ পুরোদমে চলছে।

শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল থেকে কারখানাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। প্রায় ৪৫টি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করলেও কাজে যোগ না দিয়ে মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করছে। কিছু কিছু কারখানা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। বাকি সব কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। যেসব কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সেসব কারখানার শ্রমিকরা বাসায় ফিরে গেছেন। অতীতের চেয়ে আজ শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া অনেকটাই শান্ত।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকালে কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা প্রবেশ করেছে। প্রায় সব কারখানায় কাজ চলমান আছে। প্রায় ৪৫টি কারখানায় দাবি দাওয়া নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে মিল না হওয়ায় এখনো তাদের কারখানায় কাজ শুরু করতে পারেনি।

পুলিশ সুপার জানান, গতকালের চেয়ে এখন পর্যন্ত উৎপাদন ভালো অবস্থায় রয়েছে। বাইরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ আমরা দিচ্ছি না। এখানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, শিল্পপুলিশ ও জেলা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। চতুর্দিকে মোবাইল পেট্রল টিমগুলো চলমান আছে। একই সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সক্রিয় রয়েছেন, কোনো ধরনের সহিংসতা যাতে ঘটতে না পারে তার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement