২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শ্বাসরোধে পান্নাকে হত্যা, শরীরে আঘাতের চিহ্ন : ভারতের পুলিশ

ইসহাক আলী খান পান্না - ফাইল ছবি

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্নার। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের সূত্র জানিয়েছে।

এছাড়া তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাজ্যটির পুলিশের বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, পান্নার ময়নাতদন্ত থেকে বোঝা যায় যে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

মেঘালয় পুলিশ জানায়, গত ২৬ আগস্ট মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারি বাগানের মধ্যে ইসহাক আলী খান পান্নার আধা-পঁচা লাশ পাওয়া যায়।

ওই এলাকাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। পান্নার বহন করা পাসপোর্ট থেকে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পুলিশের বেশ কয়েকটি সূত্র আরো জানায়, ময়নাতদন্তে তিনি শ্বাসরোধের কারণে মারা গেছেন বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভাষায়, ‘মৃত্যুর কারণ হলো শ্বাসরোধের কারণে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট’।

তার কপালে আঘাত এবং ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তার লাশ ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। ওইদিনই তার পিরোজপুর শহরের পাড়েরহাট সড়কের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পিরোজপুরের পৈত্রিক নিবাসে পৃথক দ্বিতল ভবন করেছিলেন পান্না, সেখানেই ভাঙচুর চলে। তার এক ভাই ওই বাড়িতে থাকলেও সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন। পান্নার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামে। তবে গ্রামের বাড়িতে তার যাতায়াত তেমন নেই। পিরোজপুরে গেলে শহরের বাড়িতেই থাকতেন তিনি।

আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯৯৪ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পান্না। ওই সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি একেএম এনামুল হক শামীম পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একাধিকবার এমপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের উপমন্ত্রী হলেও পান্না বরাবরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বাইরে ছিলেন। তবে ২০১২ সালের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্য হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান পান্না। অবশ্য পরে ১৪ দলীয় জোটগত নির্বাচনের কারণে সরে যেতে হয় তাকে। পেশাগত জীবনে বীমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারমান ছিলেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।
সূত্র : এনডিটিভি এবং অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement
রাওয়ালপিন্ডিতের বুশরা বিবির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি কিশোরগঞ্জে সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে ভাইয়ের সম্পত্তি দখল ও প্রাণনাশের হুমকি সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইমরান খানের স্ত্রীর অভিযোগ, ভিন্ন কথা দলের উল্লাপাড়ায় ইসলামী ব্যাংকের আরডিএস প্রকল্পের কেন্দ্রলিডারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন ফতুল্লায় ১৯ জুয়াড়ি গ্রেফতার ইরানের কাছে বিপজ্জনক অস্ত্র থাকা উচিত না : ইসরাইল বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার ইউক্রেনকে ফের হুঁশিয়ারি, আইসিবিএম ছুড়ল রাশিয়া ইন্দুরকানীতে শতবর্ষী বৃদ্ধের আত্মহত্যা কোনো ভাঙাচোরা রাস্তা থাকবে না : সেলিম উদ্দিন ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেন প্রশাসনের বিশেষ প্রতিনিধি দল

সকল