২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঢাকা মেডিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অভিযান, মদ ও অবৈধ মালামাল উদ্ধার

ঢাকা মেডিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অভিযান, মদ ও অবৈধ মালামাল উদ্ধার - ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা দু'ওয়ার্ড মাষ্টারের রুমে অভিযান চালিয়েছে মদের বোতল, পুলিশ কেসের সিল, ধারালো অস্ত্র, বেসরকারি হাসপাতালের ভিজিটিং কার্ড, আবাসিক হোটেলের ভিজিটিং কার্ড ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তালিকা জব্দ করেছে।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন ও নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমানের রুমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুজন ওয়ার্ড মাস্টারসহ পাঁচজনকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদেরকে আনসার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে তারা জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিনের রুম ও জিল্লুর রহমান রুমে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অনেক মালামাল উদ্ধার করে।
অভিযান চালিয়ে তারা ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিনের রুম থেকে মদের বোতল, পুলিশ কেসের সিল, ধারালো অস্ত্র, বেসরকারি হাসপাতালের ভিজিটিং কার্ড, আবাসিক হোটেলের ভিজিটিং কার্ড ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তালিকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে হাসপাতালে কাজ করার সুযোগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় আটককৃত অন্যরা হলেন তৌহিদুল ইসলাম,আকিবুল হাসান ও সুমন ইসলাম।

অভিযান পরিচালনাকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা খবর পাচ্ছিলাম যে জরুরি বিভাগে যারা চিকিৎসা সেবা নিতে আসে তারা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেসবের সত্যতা নিশ্চিত আমরা জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিনের রুমে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের সময় তার রুম থেকে মদের বোতল ধারালো অস্ত্র পুলিশ কেসের সিল বিভিন্ন অবৈধ আইডি কার্ড ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন নামের তালিকাসহ কাগজপত্র পাওয়া যায়। এ সময় তিনি স্বীকার করেন, বিভিন্ন আইসিইউতে পাঠিয়ে প্রত্যেক রোগী থেকে এক হাজার টাকা করে নেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তার রুমে কেন মদের বোতল পাওয়া যাবে? তার কাছে কেন পুলিশ কেসে সিল পাওয়া যাবে? এবং বিভিন্ন অবৈধ ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন নামের তালিকা কেন পাওয়া যাবে? বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের কার্ড আবাসিক হোটেলের ভিজিটিং কার্ডসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তার কাছে পাওয়া যায়।

এসময় তার অন্যতম দু'সহযোগীকে আটক করে পরিচালকের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পরিচালকের নির্দেশনায় তাদেরকে আনসার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ছাত্ররা বলেন, আমাদের দাবি এই ওয়ার্ড মাস্টারকে আমরা ঢাকা মেডিকেলে দেখতে চাই না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা পরিচালকের কাছে দাবি জানিয়েছি।

অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান তিনি বিভিন্ন লোককে তিন লাখ টাকা করে নিয়ে বিভিন্ন লোক নিয়োগ দেন। সেই অভিযোগে তাকেও ধরে আনা হয় প্রশাসনিক ব্লকে। পরে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তাকেও আনসার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া নতুন ভবন থেকে আরো একজনকে আটক করা হয়।

শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সঠিক তদন্ত দাবি করেন এবং তাদের বরখাস্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা এসব অপকর্ম সাথে জড়িত কর্মচারীদের তারা মেডিকেলে দেখতে চান না বলে দাবি করেন পরিচালকের কাছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান শিক্ষার্থীদের বলেন, আপনারা যেসব জিনিস তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন সেগুলো আমাদের কাছে জমা দিয়ে যান এবং আমরা একটি কমিটি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, আমরা সেই ব্যবস্থাই নেব।


আরো সংবাদ



premium cement
মনিরামপুরে শ্রমিক দলের সভাপতির উপর হামলা ‘যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বিএনপি’ দেশব্যাপী দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগে ভুগছে ৬৫ লাখ মানুষ গ্রেড-১ এ পদোন্নতি পেলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি ডা. রেয়াজুল হক ‘বড় কোনো পরিকল্পনা না থাকলে এক দিনে এতগুলো ঘটনা ঘটতো না’ জুলুমের দায়ে মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনামকে পদত্যাগ করতে হবে : হেফাজত আমির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১,৮৯০ টাকা কমেছে খালেদা জিয়ার সাথে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক মাওলানা আতাহার আলীকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা ‘মানবিক সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি’ ছাত্র সংঘর্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের উদ্বেগ

সকল