আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৬
বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। সোমালি জলদস্যূদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর জেটিতে ভিড়ল জাহাজটি।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টা ৩ মিনিটে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানো হয়। এ সময় আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং জাহাজের মালিকপক্ষ এটিকে স্বাগত জানায়।
এর আগে, রোববার এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম মিডিয়াকে বলেন, এমভি আবদুল্লাহ রোববার দুবাই পৌঁছে। সোমবার রাতে মালামাল খালাসের জন্য জাহাজটি হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। এখন পর্যন্ত নাবিকদের ইচ্ছা অনুযায়ী দুজন বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবে। এছাড়া বাকি ২১ নাবিক জাহাজেই ফিরবেন। তবে নাবিকরা চাইলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে পারেন।
কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, জাহাজে থাকা কয়লা খালাসের পর অন্য মালামাল লোড করে এটি বাংলাদেশে ফিরবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি আটক সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আটক থাকার সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সাথে।
একপর্যায়ে ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন বলে জানা গেছে। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ তিন ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ তিনটি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা