২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কিডনি নেয়া শামীমাও মারা গেলেন

শামীমা আক্তার - ছবি - ইন্টারনেট

ক্যাডাবেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা ব্রেন ডেথ সারাহ ইসলাম থেকে কিডনি পাওয়া শামীমা আক্তার (৩৪) মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সারাহ ইসলামের অঙ্গদানের মাধ্যমে নতুন জীবন পেয়েছিলেন শামীমা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে কিডনি নেয়া দু’জনই মারা গেছেন।

বিএসএমএমইউ- এর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।’

অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিল শামীমা। সম্প্রতি তার ভাই জানায়, ক্রিটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে শামীমা। পরে তিন সপ্তাহ আবারো বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিল সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। ক্রিটিনিন পুনরায় বাড়ায় ওয়ার্ড থেকে তাকে কেবিনে আনা হয়। তারপরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ডা. হাবিবুর রহমান জানান, তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলেন। বাইরের হাসপাতালেও এক দিন নেয়া হয়েছিল। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারো আমাদের আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হলো।

তিনি বলেন, কোনো রোগীর হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে রক্ত কাজ করে না। এজন্য বিশেষ রক্ত লাগে, সেটিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময় অবস্থা খারাপ হলেও সময়মতো আমাদের জানানো হয়নি। কিছুটা অবহেলা তো ছিলই।

শামীমার ভাই শাহজাদা বলেন, বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। এখন গ্রামে নিয়ে যাচ্ছি।

শামীমার বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়।


আরো সংবাদ



premium cement