অবন্তিকার আত্মহত্যা : তদন্তে তথ্যের আহ্বান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:২২
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী নামে এক সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রমাণাদি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি।
সোমবার (১৮ মার্চ) তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের আদেশক্রমে কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পেশ করার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনা বিষয়ে তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রয়োজন।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘কারো কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: জাকির হোসেনের কাছে জমা প্রদান করে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
এর আগে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেয়া দীর্ঘ এক পোস্টে অবন্তিকা জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন। এরপর কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।'
পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘আমি ভিসি সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এত ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা