অবন্তিকার আত্মহত্যা : শিক্ষক ও সহপাঠী রিমান্ডে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫২, আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী নামে এক সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে দ্বীন ইসলামের এক দিন ও আম্মান সিদ্দিকীর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে কুমিল্লার আদালত।
সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু বকর সিদ্দিকের আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে দু’জনকে কুমিল্লা নিয়ে যায়। আদালতে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের দু’দিন ও সহপাঠী আম্মানের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত দ্বীন ইসলামের এক দিন ও আম্মান সিদ্দিকীর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফিরোজ হোসেন জানিয়েছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার মা মামলা করেছেন। মামলায় দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এর আগে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেয়া দীর্ঘ এক পোস্টে অবন্তিকা জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন। এরপর কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।'
পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘আমি ভিসি সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা