বাংলাদেশী জাহাজ অপহরণের চেষ্টা, ভারতীয় নৌসদস্যদের সাথে গুলি বিনিময় জলদস্যুদের
অপহরণ করা জাহাজ দিয়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সোমালি জলদস্যুরা!- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৯, আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪, ২০:১২
গত বছরের ডিসেম্বরে মাল্টার একটি জাহাজকে অপহরণ করেছিল সোমালীয় জলদস্যুরা। সেই জাহাজ নিয়েই সমুদ্রপথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। অপহৃত সেই জাহাজ ব্যবহার করে সমুদ্রপথে অন্য পণ্যবাহী জাহাজগুলোকেও অপহরণ করছে।
এবার জলদস্যুদের সেই জাহাজটিকে ধরার চেষ্টা করতেই ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জলদস্যুরা। বাংলাদেশী একটি জাহাজকে বাঁচাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। তবে বাংলাদেশী কোন জাহাজ সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর এক্স-এমভি রুয়েন নামে মাল্টার পণ্যবাহী জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছ থেকে অপহরণ করেছিল জলদস্যুরা। সেই জাহাজটিকে কাজে লাগিয়েই ওই সমুদ্রপথে বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজকে অপহরণের চেষ্টা করে তারা। শুক্রবারও ওই জাহাজটি নিয়েই বাংলাদেশের একটি পণ্যবাহী জাহাজকে অপহরণের চেষ্টা করে সোমালি জলদস্যুরা। কিন্তু ওই জাহাজ থেকে আপৎকালীন বার্তা পেয়েই ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ উদ্ধার কাজে যায়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ দেখেই জলদস্যুরা পালানোর চেষ্টা করে। নৌবাহিনীর জাহাজটি জলদস্যুদের ধাওয়া করে। নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও জলদস্যুদের পিছু নেয়। তখনই জলদস্যুরা নৌবাহিনীর জাহাজ এবং হেলিকপ্টারটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে।
সেই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ করেনি বলেই নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, মাল্টার এই জাহাজটিকে অপহরণ করতে পারলেও ২০১৭ সাল থেকে ওই সমুদ্রপথে বহু বার বিদেশী পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণের চেষ্টা করেছিল জলদস্যুরা। কিন্তু প্রতিবারই সেই চেষ্টা ভণ্ডুল করে দিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সোমালি জলদস্যুরা ১৭টি জাহাজ অপহরণের চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশী পতাকাবাহী একটি জাহাজ মালামাল নিয়ে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হয়। পণবন্দী করা হয় এতে থাকা ২৩ নাবিককে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা