২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বেইলি রোডে আগুন : কেমন আছেন ৮তলা থেকে লাফ দেয়া সেই জুবায়ের

৮তলা থেকে লাফ দিয়ে সেদিন কোনোমতে প্রাণে বাঁচেন জুবায়ের - ছবি : সংগৃহীত

গত মাসের শেষদিকে রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ দৃশ্য এখনো চোখে ভাসছে। এ ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছে অন্তত ৪৬টি প্রাণ। দুর্ঘটনার সময় ওই ভবনে ছিলেন মুজাহিদুল ইসলাম জুবায়েরও। কিন্তু ৮তলা থেকে লাফ দিয়ে সেদিন কোনোমতে প্রাণে বাঁচেন তিনি।

সেই জুবায়ের এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন? জুবায়েরের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে- তিনি বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে নিজ বাড়িতেই বিশ্রামে আছেন।

নয়া দিগন্তকে জুবায়ের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর অন্তত ১০ দিন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বর্তমানে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন। আগামী দেড় মাস এভাবে বাড়িতেই থাকবেন। এরপর ফের ঢাকা মেডিক্যালে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাবেন।

দুর্ঘটনার দিন এত উঁচু ভবন থেকে লাফ দেয়ার পর কী রকম ক্ষত হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে জুবায়ের জানান, তার পা ও পিঠের হাড় ফেটে গেছে। পায়ে এখনো ব্যান্ডেজ লাগানো। চিকিৎসক জানিয়েছেন, দেড় মাস বিশ্রাম নিলে সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিতভাবে বিষয়টি জানা যাবে।

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ফেলাননগর গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদকও। তার এই দুঃসময়ে ছাত্রলীগ খোঁজখবর নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, উপজেলার ছাত্রলীগ নেতারা ফোন করেছিলেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিকুল মৃধাও খোঁজ নিয়েছেন।’

এ প্রসঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘জুবায়ের ওখানে চাকরি করত। যখনই আমরা তার দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার খবর জানতে পেরেছি, আমরা তার সাথে ও তার পরিবারের সাথে সবসময় আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমরা অফিসিয়ালি তার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

গত ২৯ ফ্রেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রাণে বাঁচতে ৮তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন জুবায়ের। এতে তার দুটি পা এবং কোমরের হাড় ফেটে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement