২ চিকিৎসক গ্রেফতার, বন্ধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫২, আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬
রাজধানীর মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিক্যাল চেকআপ সেন্টারে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিশুর নাম আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০)। এ ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেন্টারটি।
গ্রেফতার দুই চিকিৎসক হলেন এস এম মুক্তাদির ও মাহবুব। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আওলাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আহনাফকে সুন্নতে খৎনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় আহনাফের পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদিরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা করেন শিশুটির বাবা ফখরুল আলম। এরপর মামলার প্রেক্ষিতে ওই দু’জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আহনাফের আর জ্ঞান ফেরেনি।
জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিক্যাল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে নেন আহনাফের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার পর আর ঘুম ভাঙে না আহনাফের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেনারেল এনেস্থেশিয়া দেয়া হয়নি জানিয়ে দাবি করে, আগে থেকেই শারীরিক সমস্যা ছিল তাহমিদের। সে ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে সঠিক তথ্য না দেয়াতেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদির দাবি করেন, ছেলেটির ওজন বেশি ছিল। বয়সও ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। ফুসফুসে সমস্যা ছিল। কিন্তু সব তথ্য পরিবার জানায়নি।
এদিকে ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই এবার মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিক্যাল চেকআপ সেন্টারে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলো।